তখন গুলতেকিনের দুঃখকষ্টের কথা ভেবে তাঁর চোখে জল আসেনি?

0
109


মিলি সুলতানা:

এই ছবিতে শিশু নূহাশের সাথে তার পিতা হুমায়ূন আহমেদ। হুমায়ূন আহমেদের এক প্রাক্তন ছাত্র (পরবর্তীতে সহকর্মী) লেখক সম্পর্কে কিছু নতুন কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, হুমায়ূন আহমেদ বেশি আবেগে কাঁদতেন, একা একা কাঁদতেন। আবেগপ্রবণ কোনো লেখা লিখতে গেলে তাঁর চোখ ভিজে ভরপুর নদী হয়ে যেতো। কোনো মানুষের করুণ পরিণতি স্যারের চোখে জল আনত। নির্জন রাতে তাঁকে একা উদাস বসে থাকতে দেখেছি, চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়েছে। এক রাতে শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য স্যারের সঙ্গে আমরা কয়েকজন ঢাকার ফুটপাতে নামলাম। কিছুদূর গিয়ে স্যার বিরক্তভাবে বললেন, তোমরা যা পারো, দিয়ে এসো, আমি যাই।

স্যার একা একদিকে হাঁটতে শুরু করলেন। তাঁর নিরাপত্তার কথা ভেবে পিছু নিলাম। দেখি তিনি হাঁটছেন আর ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছেন। কারণ, এত বেশিসংখ্যক মানুষ শীতে কাঁপছে, সেখানে এই কয়েকটি কম্বল দিয়ে কী হবে, এই বেদনায় তাঁর বুক ফেটে যাচ্ছে। এখানে আমি অধমের একটা বক্তব্য আছে–“কোনো মানুষের করুণ পরিণতি উনার চোখে জল এনে দিতো। অন্যের কষ্ট দেখলে তিনি ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতেন।”
যদি একথা সত্যি হয়ে থাকে তাহলে যখন তিনি মেহের আফরোজ শাওনের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেন, তখন গুলতেকিনের দুঃখকষ্টের কথা ভেবে তাঁর চোখে জল আসেনি?

যখন তিনি মেয়ের বয়সী শাওনকে বিয়ে করলেন, যখন তিনি তাঁর তিনমেয়ে নোভা শিলা বিপাশা ও নূহাশকে তাঁর জীবন থেকে বিতাড়িত করলেন, তখন কি তিনি চার সন্তানের দুঃখ দুর্দশা দেখে কেঁদেছেন? এবার আমার বক্তব্য বলি, লেখকের ওই সহকর্মী ১০০% ভেজাল কথা বলেছেন। অন্যের করুণ পরিণতি যদি হুমায়ূন আহমেদকে সত্যিই দুঃখী করতো, তাহলে তিনি চার সন্তানকে পিতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত করতে পারতেন না। গুলতেকিনের হাত ছেড়ে দিয়ে ছুকরি শাওনের হাত ধরতেন না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here