‘ঘরে বসে জুম মিটিং করলেন এতেও আপ্যায়ন ব্যয়?’

0
107

বাংলা খবর ডেস্ক:
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান মন্ত্রিপরিষদসচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবসহ ৩০ মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেখানে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পে অস্বাভাবিক বা বাড়াবাড়ি খরচসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর শেরেবাংলানগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে ৩০ মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

সভা শেষে দুপুর ২টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমরা সবাই একমত হয়েছি যে করোনার জন্য নয়, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় যেকোনো পরিস্থিতিতে আমাদের পরিহার করতে হবে। এটা অপরিহার্য।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, করোনায় বাসায় বসে জুম মিটিং করলেন। এতে আপ্যায়ন ব্যয় করা লাগবে? প্রকল্পের আওতায় আপ্যায়ন ব্যয় আছে। তার মানে এই নয় যে অযৌক্তিকভাবে ব্যয় করতে হবে। প্রকল্পের আওতায় অযৌক্তিক আপ্যায়ন ব্যয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীও উদ্বিগ্ন। তিনি বিভিন্ন সময় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। আপনারা (সাংবাদিকরা) রিপোর্ট করেছেন। তবে সংশ্লিষ্ট সবাই কথা দিয়েছেন, তাদের যেসব সুযোগ-সুবিধা, আইন-কানুন আছে, সেগুলো তাঁরা প্রয়োগ করবেন।

তিনি বলেন, সব অর্থ সরকারের নয়, জনগণের। জনগণের অর্থ যদি অপচয় হয় বা বেশি ব্যয় করি-এটা গ্রহণযোগ্য নয়। করোনা হোক বা না হোক, কোনো সময়ই জনগণের অর্থ নিয়ে নয়-ছয় করা যাবে না।

তিনি আরো বলেন, সবাই স্বীকার করি যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি আছে। ভুল হোক বা হিউম্যান ইরর হোক। কিন্তু বারবার একই ভুল গ্রহণযোগ্য নয়। সবাই মিলে আমরা আলোচনা করেছি, কিভাবে এটা বন্ধ করা যায়। এ বিষয়ে আমরা সবাই মিলে একমত হয়েছি, আমরা যার যার অবস্থান থেকে এটা মোকাবেলা করব। আমরা এ বছর থেকে কাজ শুরু করলাম, নতুন প্রকল্পগুলোর জন্য আমরা অনেকটা সচেতন হব।

তিনি বলেন, একজন লোকের কাছে চারটা, পাঁচটা, ছয়টা প্রকল্প। ১০টা প্রকল্পও পাওয়া গেছে। এটা আমাদের সার্কুলারবিরোধী, বিধানবিরোধী। তারপরও করে যাচ্ছি এটা। সুনামগঞ্জের প্রকল্পে প্রকল্প পরিচালক ঢাকায়। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। এটা আগেও আলোচনা করেছি। আবার আলোচনা করছি। বারবার করে এটাকে আমরা শোধরাবার চেষ্টা করছি। শোধরানো দরকার। এ সমন্ধে কোনো সন্দেহ নেই। আমরা সবাই একমত। আমরা একমত হয়েছি, এসব বিষয় আর মেনে নেওয়া যাবে না।

এম এ মান্নান বলেন, পরিকল্পনা কমিশন আরো সচেতন হবে। আর যারা প্রকল্প তৈরি করবেন, তারা আগের তুলনায় অনেক বেশি সাবধানতা অবলম্বন করবেন। যাতে করে এ ধরনের কাজ আগামীতে আর না হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। তারা টাস্কফোর্স গঠন করেছেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব কী কী শাস্তির বিধান আছে, সেটা উল্লেখ করেছেন। জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে তিনি আবার এটাকে রিফ্লেক্ট করেছেন বলেও জানান তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here