সুশান্ত-রিয়া: ছড়াচ্ছে বঙ্গনারী-বিদ্বেষ, রিপোর্ট তলব কমিশনের

0
84

বাংলা খবর ডেস্ক:
অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের অপমৃত্যুর ঘটনায় তাঁর বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর নাম জড়িয়ে যাওয়ার পর থেকে বাঙালি মহিলাদের উদ্দেশে কুরুচিকর মন্তব্যের বন্যা সমাজমাধ্যমে। এই মর্মে অভিযোগ পাওয়ার পরে নড়েচড়ে বসেছে কলকাতা পুলিশ। এ নিয়ে রিপোর্টও চেয়েছে রাজ্য মহিলা কমিশন।

সম্প্রতি কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য মহিলা কমিশনের কাছে মেল পাঠিয়ে ‘বঙ্গযোদ্ধা’ নামে একটি সংগঠন অভিযোগ করে, রিয়াকে দৃষ্টান্ত করে বাঙালি মহিলাদের কুরুচিকর মন্তব্য করা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। গত বৃহস্পতিবার রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় কলকাতা পুলিশের সাইবার সেলের এক কর্তাকে মেল পাঠিয়ে সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দিতে বলেন। লীনাদেবীর কথায়, ‘‘সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পরে যে আবেগ তৈরি হয়েছে, তাকে পরিকল্পিত ভাবে বাঙালি মহিলাদের বিরুদ্ধে কাজে লাগানো হচ্ছে বলে অভিযোগ আসছে। তাঁর সংযোজন: ‘‘একটি সংগঠনের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম সেলের থেকে রিপোর্ট চেয়েছি। কথা বলেছি পুলিশের ওই শাখার এক শীর্ষ আধিকারিকের সঙ্গে। ওঁরা বিষয়টি দেখছেন।’’

লীনাদেবী জানান, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েক জন ছাত্রছাত্রীও তাঁদের কাছে ই-মেলে অভিযোগ জানিয়েছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও অনেকে ই-মেল করে অভিযোগ জানিয়েছেন। লীনার প্রতিক্রিয়া, ‘‘এই ধরনের ঘটনা মোটেই কাঙ্ক্ষিত নয়। আমি কলকাতা পুলিশের থেকে রিপোর্ট চেয়েছি। রিপোর্ট দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।’’

‘বঙ্গযোদ্ধা’র তরফে কলকাতা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন রূপা চক্রবর্তী খান এবং ঝুমা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ কয়েক জন। রূপাদেবী কথায়, ‘‘সুশান্ত-মৃত্যুর ঘটনায় রিয়া চক্রবর্তীর নাম জড়িয়ে যাওয়ার পরে আমরা লক্ষ করেছি, সোশ্যাল মিডিয়ায় বঙ্গনারীদের সম্মানহানির প্রবণতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে কুরুচিকর মন্তব্যের কার্যত বন্যা বইছে।’’

কলকাতা পুলিশের সাইবার সেল সূত্রে জানা গিয়েছে, রূপাদেবীর অভিযোগের তদন্তভার দেওয়া হয়েছে এক সাব ইনস্পেক্টরকে। রূপাদেবীর দাবি, ‘‘অপকর্মে যুক্তদের প্রায় সকলেই নির্দিষ্ট একটি ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।’’ ঝুমাদেবীর কথায়, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ায় মহিলাদের সম্মানহানি নতুন কোনও বিষয় নয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বাঙালি মহিলাদের চিহ্নিত করে যে ভাবে ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে, তা আগে কখনও হয়েছে বলে শুনিনি। তাই চুপ না-থেকে পুলিশে অভিযোগ করেছি।’’ ওই সংগঠনের দুই সদস্য প্রবীর রায় এবং অভিজিৎ বসু বলেন, ‘‘শুধু কুরুচিকর মন্তব নয়, বাঙালি মহিলাদের নিয়ে কুরুচিকর ছবি ট্যাগ করা হচ্ছে বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে। যে ভাষা ব্যবহার করা হচ্ছে, তা মুখে আনা যায় না।’’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here