মনিজা রহমান:
বাংলাদেশের বাস-ট্রাকের পিছনে লেখা থাকে-’আল্লাহর নামে চলিলাম’। করোনাকালের মধ্যে আমরা সেভাবে চললাম প্রকৃতির সান্নিধ্যে।
গ্রীস্ম মৌসুম তার দ্বারপ্রান্তে উপস্থিত, সামার স্কুল শেষে দুই সপ্তাহের ভ্যাকেশন ও বাংলাদেশ থেকে অতিথিদের আগমন- আমাদের এই যাত্রাকে তরান্বিত করল। ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে বলে বাংলাদেশ থেকে আমার এক বোন ও দুলাভাই নিউইয়র্কে এসেছেন সম্প্রতি।
নতুন নতুন শহর দেখার উদ্দেশ্যে নিয়ে আমরা নিউইয়র্ক সিটি থেকে সড়ক পথে রওনা হয়ে প্রথমে গেলাম বাফেলোতে। নিউইয়র্ক স্টেটের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই নগরী নায়াগ্রা জলপ্রপাতের জন্য বিখ্যাত। নায়াগ্রা জলপ্রপাত নিউইয়র্ক স্টেট তো বটেই পুরো আমেরিকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য এর একটি অন্যতম দর্শনীয় কেন্দ্র।
আমেরিকা ও কানাডার সীমান্তে নায়াগ্রা নদীতে এই জলপ্রপাত অবস্থিত। নায়াগ্রা স্টেট পার্কে গিয়ে দেখলাম, করোনা মহামারীর মধ্যেও মানুষের ঢল নেমেছে। টিকেটের জন্য প্রায় এক থেকে দেড় ঘন্টা লাইন ধরে থাকতে হয়েছে। আমরা যখন ফেরিতে চড়লাম, দেখলাম ওপাশ দিয়ে কানাডিয়ানরা আরেকটি ফেরীতে চড়েছে। উভয় ফেরী অতিক্রমের সময় যাত্রীরা হাত নাড়িয়ে শুভেচ্ছা জানাল। ফেরী যখন জলপ্রপাতের মধ্যে পৌছাল, তখন অদ্ভুত একটা অনুভূতি হবে সবার। নুহ নবীর (বাইবেলে নোয়াহ নবী) সময়ে যেভাবে সারা দুনিয়া পানিতে ডুবে গিয়েছিল, তেমন মনে হল আমার।
নায়াগ্রার মতো দ্রষ্টব্যস্থান থাকার পরেও বাফেলো আমেরিকার তৃতীয় দরিদ্রতম শহর। প্রথম ও দ্বিতীয়স্থানে আছে যথাক্রমে মিশিগানের শহর ডেট্রোয়েট ও ওহাইও’র ক্লিভল্যান্ড। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে নিউইয়র্ক শহর থেকে বাঙালিরা দলে দলে বাফেলোতে গিয়ে বাড়ি কিনছে।