গায়ে হলুদের দিনটাকে স্মরণীয় রাখতে মোটরসাইকেলে ফারহানা

0
154

বাংলা খবর ডেস্ক:
গায়ে হলুদের দিনটাকে অন্যরকমভাবে স্মরণীয় রাখতে চেয়েছিলেন যশোরের মেয়ে ফারহানা আফরোজ। সে কারণেই গত ১৩ আগস্ট শহরব্যাপী ভাই-বোন, বন্ধুদের নিয়ে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করেন তিনি। পরে সেই শোভাযাত্রার ছবি ও ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ব্যতিক্রমী এই আয়োজনের অনেকেই প্রশংসা করলেও কেউ কেউ বিরূপ মন্তব্যও করেছেন।

নেটিজেনরা বিষয়টিকে ভালোভাবে নিতে না পারলেও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বিষয়টিকে ভালোভাবেই নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কনে ফারহানা। শুধু তাই নয়, শ্বশুরবাড়ি থেকে একটি মোটরসাইকেল উপহার পাবেন বলেও জানান তিনি।

ফারহানা বলেন, ‘গায়ে হলুদের ছবি ভাইরাল হওয়া এবং নেটিজেনদের বিরূপ মন্তব্য আমার জীবনে কোন নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে বোঝাপড়াটা ভালো। ফলে আগামীতেও আমি বাইক রাইডিং অব্যাহত রাখবো।’

শ্বশুরবাড়ি থেকে একটি বাইক উপহার পাবেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শ্বশুরের প্রতিশ্রুত মোটরবাইকটি ঢাকা থেকেই কেনার ইচ্ছে আছে।’

গত ১৪ আগস্ট পাবনার কাশিনাথপুরের বাসিন্দা ও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হাসনাইন রাফির সঙ্গে বিয়ে হয় যশোর শহরের সার্কিট হাউজ এলাকার মেয়ে ফারহানার। তার আগের দিন তথা ১৩ আগস্ট ছিল তার গায়ে হলুদ।


দিনটিকে স্মরণীয় করতে ২০টির বেশি মোটরসাইকেল নিয়ে জমকালো সাজে শহরজুড়ে বন্ধু-বান্ধব ও সঙ্গীদের নিয়ে মোটরসাইকেল র‌্যালি করেন কনে ফারহানা। ফটো তোলার দায়িত্বে থাকা তারই বন্ধু নাহরুল হায়াত তরু ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করেন। এরপর ব্যতিক্রমী এ আয়োজনের ছবি ভাইরাল হয়।

ফারহানা বলেন, ‘সবাই নেচে-গেয়ে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান করেছি। আমি যেহেতু বাইক চালাতে পারি, তাই বাইক চালিয়ে অনুষ্ঠান করেছি। ব্যতিক্রমী কিছু করার ভাবনা থেকেই এমন আয়োজন। এটি আমার নিজস্ব উদ্যোগে করেছি।’

তিনি আরও বলেন, বাইক ‘র‌্যালির ছবি ফেসবুকে আসার পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তা স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন। তারা আমার বাইক চালানোর বিষয়টি আগে থেকেই জানতেন। ফলে তারা ছবি ও ভিডিও দেখে বেশ আনন্দ করেছেন।’

কিন্তু নেটিজেনরা বিষয়টিকে ভালোভাবে নিতে পারছে না জানিয়ে ফারহানা বলেন, ‘তারা আমার চারিত্রিক সনদ দিচ্ছেন। এটা আমি মানতে পারছি না। যে কারণে ছবি ভাইরাল হওয়ার পর আমি নিজেই বাইক র‌্যালির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করি। সুযোগ পেলে আমি হেলিকপ্টার চালানোও শিখতাম। সবকিছুই চালানো শিখতাম। স্বামীর পক্ষ থেকেও কোনো প্রকার আপত্তি নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০০৭ সাল থেকে বাইক চালাই। মূলত বাড়িতে সাইকেল ও প্রাইভেটকার চালানো শেখা হয় ছোটবেলাতেই। বাবার মোটরসাইকেলটিও চালানোর একটা ঝোঁক ছিল। তাই বাবার অজান্তেই কোন প্রশিক্ষক ছাড়াই মোটরসাইকেল চালানো শিখি। ২০১৩ সালে ঢাকায় যাওয়ার পর বন্ধুদের সঙ্গে বাইক চালিয়ে বিষয়টি ভালোভাবে রপ্ত করি। এরপর নিজে স্কুটি কিনি।’

যশোর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে ২০১১ সালে এসএসসি ও ২০১৩ সালে যশোর আব্দুর রাজ্জাক কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন ফারহানা। এখন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) থেকে এইচআর-এ এমবিএ করছেন তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here