মসজিদ হামলা: প্যারোলহীন আজীবন কারাদণ্ড পেলেন ট্যারেন্ট

0
90
২০১৯ সালের মার্চে ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে নৃশংস ওই হামলাটি চালিয়েছিল অস্ট্রেলীয় শ্বেতাঙ্গ বর্ণবাদী ব্রেন্টন ট্যারেন্ট। ছবি: রয়টার্স

বাংলা খবর ডেস্ক:
ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে হামলা চালিয়ে ৫১ জনকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারেন্টকে প্যারোলহীন আজীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের একটি আদালত। বৃহস্পতিবার এই রায় দেওয়া হয়।

এর আগে অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ট্যারান্ট দুটি মসজিদে হামলা চালিয়ে ৫১ জনকে হত্যার দায় স্বীকার করে নিয়েছেন। এছাড়া আরো ৪০ জনকে হত্যার চেষ্টা এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার দায়ে তার বিরুদ্ধে আরো দুটি মামলা করা হয়েছিলো। সবগুলো মামলাতেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ট্যারান্ট।

রায়ের সময় বিচারক ট্যারান্টের হামলাকে ‘অমানবিক’ বলে আখ্যায়িত করেন।

রায় ঘোষণার সময় বিচারক ক্যামেরুন ম্যান্ডার বলেন, আপনার অপরাধগুলো এতটাই খারাপ যে আপনাকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আটকে রাখা হলেও এর সাজা পরিপূর্ণ হবে না।

এদিকে ট্যারেন্ট তার আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে জানিয়েছেন যে প্যারোলহীন আজীবন কারাদণ্ডের বিষয়ে তার কোনো আপত্তি নেই। এর আগে ট্যারান্ট আদালতকে জানিয়েছিল যে রায়ের সময় কোনো বক্তব্য সে রাখবে না।

বিচার দেখতে পেল না ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলার ১৩ ভুক্তভোগী:

ওদিকে ওই হামলায় ভুক্তভোগী ১৩ জন নিউজিল্যান্ড সীমান্তে গিয়েও রায় শুনতে পারলেন না। কারণ, তারা আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টিনে আছেন। ভুক্তভোগীদের পক্ষে একজন জানান, চারজন কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। কারণ, তাদের মধ্যে একজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন।

অন্য নয়জন দেরিতে নিউজিল্যান্ড সীমান্তে পৌঁছার পর ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে আছেন। সে কারণে তারা আর উপস্থিত হয়ে রায় শুনতে পারলেন না।
ওই ১৩ জনই নিউজিল্যান্ডের নাগরিক। ভিকটিম সাপোর্ট তাদের তাদের আসার খরচ বহন করেছে। সেখানে উপস্থিত হতে না পারা ব্যক্তিদের এজন হলেন বাংলাদেশি সাজেদা আখতারের স্বামী মো. মাসুদ।

বর্তমানে তিনি আইসোলেশনে আছেন। জানা গেছে, মোট ৫৭ জনকে নিউজিল্যান্ডকে প্রবেশ করতে সহায়তা করেছে ভিকটিম সাপোর্ট। শুধু রায় শোনানোর জন্য তাদের বিভিন্ন দেশ থেকে একত্রিত করার চষ্টো করেছে তারা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here