ডিজিটাল সহযোগিতায় শক্তিশালী বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব প্রয়োজন- প্রধানমন্ত্রী

0
106
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ‘হাইলেভেল রাউন্ডটেবিল অন ক্লাইমেট অ্যাকশন’-এ বক্তব্য প্রদান করেন —পিআইডি

বাংলা খবর ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে ডিজিটাল সহযোগিতায় বিশ্বব্যাপী অংশীদারিত্বের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

তিনি বলেছেন, ‘আমরা আমাদের অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে একটি শক্তিশালী বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের অপেক্ষায় রয়েছি।’

বুধবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনের সাইডলাইনে ‘ডিজিটাল সহযোগিতা : ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অ্যাকশন টুডে’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

পূর্বে ধারণকৃত ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, কোভিড-১৯ মহামারি ডিজিটাল পরিষেবার শক্তিকে উন্মোচিত করেছে এবং ডিজিটাল বিভাজনকেও প্রকাশ করেছে। বিশ্বের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যারই ইন্টারনেটে ন্যূনতম প্রবেশগম্যতা নেই। সেই শূন্যতা পূরণ করতে হবে।

বাংলাদেশে তার সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প নির্ধারণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ডিজিটালাইজেশনের জন্য সরকারের চাপের কারণেই বাংলাদেশ ইন্টারনেট প্রযুক্তিতে একটি ব্যাপক পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করেছে। দেশে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০৩ দশমিক ৪৮ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। আমাদের ডিজিটালাইজেশন জনগণকে পরিবর্তন ও নির্মাতা হওয়ার বিশাল সুযোগ এনে দিয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ডিজিটাল কানেকটিভিটির ওপর আমাদের আলোকপাত অর্থনৈতিক বিকাশকে সহজতর করেছে এবং নারীর ক্ষমতায়নসহ সামাজিক পরিবর্তনকে অনুঘটক করেছে। এটি এসডিজিগুলোকে বাস্তবায়ন এবং কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করছে।’

তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমরা বাংলাদেশকে ২০৪১ সাল নাগাদ একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি, কাজেই আমরা আমাদের তরুণ প্রজন্মকে এই রূপান্তরিত যাত্রার কেন্দ্রে রাখতে চাই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ফলে সৃষ্ট উদীয়মান চাকরির বাজার বিবেচনা করে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে ডিজিটাল একাডেমি ও সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ হতে চান।’

ইথিওপিয়ার প্রেসিডেন্ট সালেহ ওয়ার্ক জেওয়াদি, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস, ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনেরিয়েটা ফোর, আলিবাবা গ্রুপের কো-ফাউন্ডার ও জাতিসংঘ মহাসচিবের ডিজিটাল সহযোগিতাসংক্রান্ত উচ্চপর্যায়ের প্যানেলের কো-চেয়ার জ্যাক মা, ভার্টি এন্টারপ্রাইজের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান সুনিল ভার্টি মিত্তাল, রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামির পক্ষে সেদেশের আইসিটি মন্ত্রী পাউলা ইনগাবিরে, ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েভের (ডব্লিউডব্লিউডব্লিউ) প্রতিষ্ঠাতা টিম বার্নার্স লি, এক্সপ্রাইজ ফাউন্ডেশনের সিইও অনুশেহ আনসারি, ইউএনডিপি প্রশাসক অচিম স্টেইনার এবং জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপপো গ্রান্ডি অন্যান্যের মধ্যে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনেরিয়েটা ফোর এবং আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিউ) মহাসচিব হলিন ঝাওয়ের যৌথ আমন্ত্রণে এই ইভেন্টে যোগ দেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here