বাংলা খবর ডেস্ক:
করোনাভাইরাস ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে। বৃহস্পতিবার হওয়া ওই বৈঠকে চলমান মহামারি মোকাবেলায় বিশ্ব নেতাদের ব্যার্থতার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা, ঐক্য ও সংহতি না থাকার কারণেই করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে এবং এটিই প্রায় ১০ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ। এরপরই একে অপরকে দায়ি করে বিতর্ক শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়া। এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।
খবরে বলা হয়, এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ৩ কোটি ২০ লাখ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এই কঠিন সময়কে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে গুতেরেস বলেন, মহামারি আন্তর্জাতিক সহযোগিতার পরীক্ষা। যে পরীক্ষায় বিশ্ব নেতারা ব্যর্থ হয়েছে।
জলবায়ু সংকটও যদি একইভাবে এগিয়ে আসে তাহলে আমার আশঙ্কা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে যোগ দেয়া দূত কেলি ক্রাফট এই মহামারির জন্য চীনকে দায়ি করেন। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রা¤প করোনা মহামারিকে প্লেগের সঙ্গে তুলনা করে এর জন্য চীনকে শাস্তি দেয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। কেলি ক্রাফটও সেই একই কথা তুলে ধরেন। এরপরই চীনের দূত এর কড়া জবাব দেন। তিনি বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত মেডিক্যাল টেকনোলজি ও ব্যবস্থা থাকার পরও কেন যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু ঘটছে। যদি কাউকে দায়ী করতে হয় তাহলে তা কয়েকজন মার্কিন রাজনীতিককে নিজেদের দায়ী করতে হবে। রাশিয়ার দূতও চীনকে সমর্থন দেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এদিকে, নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বিভিন্ন দেশের দূতদের সমালোচনা করেন মার্কিন দূত ক্রাফট। তিনি বলেন, আপনাদের সবার লজ্জা হওয়া উচিত। আজকের বৈঠকের বিষয়বস্তু নিয়ে আমি হতবাক ও মেনে নিতে পারছি না। এই পরিষদ নিয়ে সত্যিই আমি লজ্জিত। এই পরিষদের সদস্যরা চলমান সংকট নিয়ে কথা বলার চাইতে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছেন। এরপর চীনা দূত কথা বলার আগেই ক্রাফট বৈঠক ছেড়ে চলে যান। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, মার্কিন দূত আলোচনাজুড়ে খুবই আক্রমণাত্মক হয়ে ছিলেন।