ভিটামিন এ খাওয়াতে ১ লাখ ২০ হাজার ক্যাম্প করা হবে

0
99

বাংলা খবর ডেস্ক:
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আগামী প্রজন্মের উন্নত স্বাস্থ্য গড়তে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো জরুরি। এবছর ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন ৪ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। এ কার্যক্রমকে সফল করতে সারা দেশে ১ লাখ ২০ হাজার ক্যাম্প করা হবে। এতে প্রায় ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী যুক্ত থাকবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ আয়োজিত ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, এবার করোনায় স্বাস্থ্যবিধির ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীদের। সুতরাং স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখেই শিশুদের টিকা খাওয়ানো হবে। শহর বা গ্রামের হাসপাতাল-ক্লিনিকের প্রতিটি কেন্দ্রে মায়েরা যেন তাদের শিশুদের নিয়ে যায় সেজন্য সর্বত্র প্রচারণা চালানোর নির্দেশনা দেন তিনি। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিব, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট পরিচালকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

স্বাস্থ্যসেবায় জাতির পিতার বিভিন্ন অবদানের কথা তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনটি প্রথম শুরু করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তখন দেশে রাতকানা রোগের হার ছিল ৪.১ শতাংশ। এরপর বঙ্গবন্ধু এই রোগ নির্মূলে নানা উদ্যোগ নেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবার ক্ষমতায় এসেই রাতকানা রোগ নির্মূলে বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন শুরু করেন। এখন দেশে রাতকানা রোগের হার ১ শতাংশেরও নিচে নেমে গেছে। একটি পরিবারেও যেন অন্ধ কোনো শিশু না থাকে সে লক্ষ্যেই সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের উদ্যোগগুলো সফল হলে নিকট ভবিষ্যতেই দেশে আর কোনো রাতকানা রোগী থাকবে না।

উল্লেখ্য, ২৬ সেপ্টেম্বর ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন করার কথা থাকলেও পরে সিদ্ধান্ত বদলানো হয়। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে পক্ষকালব্যাপী ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন চলবে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত। দেশের নির্ধারিত ইপিআই কেন্দ্রগুলোতে পর্যায়ক্রমে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুদের ১টি নীল রঙের ১ লাখ আইইউ এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ১টি করে লাল রঙের ২ লাখ আইইউ উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর পাশাপাশি পুষ্টিবিষয়ক বিভিন্ন বার্তা জনগণের মাঝে প্রচার করা হবে। কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক এ বিষয়ে ইতোমধ্যে সব সংস্থা ও কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here