বাংলা খবর ডেস্ক:
ডেমোক্রেট ভোটারদের ইমেইলে হুমকি দেয়া হচ্ছে। তাদের তথ্য চলে গেছে ইরান ও রাশিয়ার হাতে। সেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেট ভোটারদেরকে ওই হুমকি দেয়া হচ্ছে। যেনতেন কোনো সূত্র এমন তথ্য প্রকাশ করেনি। সারসারি যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স পরিচালক জন র্যাটক্লিফ জানিয়েছেন এসব। তিনি এমন এক সময়ে এই তথ্য প্রকাশ করলেন যখন অন্য সব বারের চেয়ে ভিন্ন আবহে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর বাকি মাত্র ১২ দিন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
র্যাটক্লিফ বলেছেন, মার্কিন কর্মকর্তারা তথ্যপ্রমাণ পেয়েছেন যে, বেশ কিছু রেজিস্টার্ড ভোটারের তথ্য চলে গেছে ইরান ও রাশিয়ার কাছে।
এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপের আশঙ্কা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া বিদেশিরা নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে ভুল তথ্য প্রচার করবে। র্যাটক্লিফ বলেছেন, ইরানের ‘প্রতারণামুলক ইমেইল’ পাঠিয়েছে ‘প্রাউড বয়েস’। এর মধ্য দিয়ে তারা ভোটারদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করতে চায়। অস্থিরতা উস্কে দিতে চায়। র্যাটক্লিফ আরো বলেন, নিবন্ধিত ভোটারদের কাছে ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেয়ার জন্য ভোটার ডাটা ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে। এর মধ্য দিয়ে সংশ্লিষ্টরা এক বিশৃংখলতার বীজ বপন করতে চায়, মার্কিন গণতন্ত্রে আপনার আস্থাকে খর্ব করতে চায়। র্যাটক্লিফ বলেছেন, কর্মকর্তারা রাশিয়া থেকে একই রকম একশন দেখতে পাননি। তবে রাশিয়ার হাতেও কিছু ভোটারের তথ্য রয়েছে বলে তারা অবহিত। যুক্তরাষ্ট্রে অনেক রাজ্যে ভোটারদের ডাটা অনুরোধের প্রেক্ষিতে হাতে পাওয়া সহজ। যদিও প্রতিটি রাজ্যে এক্ষেত্রে কিছু ভিন্ন ভিন্ন শর্ত আছে যে, কে এই ভোরদের তথ্য পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারে। এ তথ্য দিয়েছে ন্যাশনাল কনফারেন্স অব স্টেট লেজিস্লেচারস।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে র্যাটক্লিফ ভোটারদের উদ্দেশে বলেছেন, যদি আপনাকে এমন ভীতি প্রদর্শন করা হয় ইমেইলে অথবা বানোয়াট ইমেইল পাঠানো হয় আপনার ইনবক্সে- তবে বিচলিত হবেন না। এমন বার্তাকে ছড়িয়ে দেবেন না। তার মতে, যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুপক্ষ এমন বেপরোয়া তৎপরতা শুরু করেছে। এ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে র্যাটক্লিফের সঙ্গে যোগ দেন এফবিআইয়ের পরিচালক ক্রিস্টোফার রে। তিনি দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী ব্যবস্থা সুরক্ষিত থাকবে। তিনি ভোটারদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, আপনার ভোট গণনা করা হবে এ বিষয়ে নিশ্চিত থাকুন।