বাংলা খবর ডেস্ক:
মরণঘাতী করোনাভাইরাসে ফ্রান্সে একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণের রেকর্ড হয়েছে। ভাইরাসটির কারণে দেশটিতে গত আটদিনে হাসপাতালে ভর্তি গুরুতর রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ফ্রান্সে গতকাল সোমবার ২৪ ঘণ্টায় ৫২ হাজার ৫১৮ জনের দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এ সময় ৪১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৪ লাখ ৬৬ হাজার ৪৩৩ জনের দেহে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। মোট মৃত্যু হয়েছে ৩৭ হাজার ৪৩৫ জনের।
রয়টার্স বলছে, ১২ দিন আগেও ফ্রান্সে একদিনে ২৫ হাজার মানুষের দেহে ভাইরাসটির অস্তিত্ব শনাক্ত হয়েছে। কিন্তু এই অল্প সময়ের মধ্যে সেই সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ায় চিন্তার ভাজ দেখা দিয়েছে দেশটির নীতিনির্ধারকদের মধ্যে। হাসপাতালগুলোতেও বাড়তে শুরু করেছে গুরুতর রোগীর সংখ্যা। বর্তমানে ফ্রান্সের বিভিন্ন হাসপাতালের আইসিইউ-তে ৩ হাজার ৭৩০ জন করোনা রোগী ভর্তি আছেন। যা গত ৪ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় কারণে ফ্রান্সে দ্বিতীয়বার (পুরো নভেম্বর মাস) জাতীয় লকডাউন ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। গত শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া নতুন পদক্ষেপ সম্পর্কে তিনি বলেছেন, লোকদের কেবল প্রয়োজনীয় কাজ বা চিকিত্সার কারণে বাড়ির বাইরে যেতে দেওয়া হবে।
প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ বলেছেন, রেস্তোঁরা এবং বারের মতো অপ্রয়োজনীয় সকল ধরণের ব্যবসা বন্ধ থাকবে। তবে স্কুল এবং কারখানাগুলো উন্মুক্ত থাকবে। এছাড়া মার্চ মাসের প্রাথমিক লকডাউনে যেমন প্রয়োজন ছিল তেমনি লোকদের বাড়ির বাইরে যাওয়ার জন্য একটি ফর্ম পূরণ করে বাইরে যেতে হবে।