বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকনের বাসায় ডিবি

0
111
খায়রুল কবির খোকন। ফাইল ছবি

বাংলা খবর ডেস্ক:
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর বিএনপি নেতাকর্মীদের অনেকের বাসায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। তারা সাদা পোশাকে এসব অভিযান চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি নেতারা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে দলের যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ও স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানার খিঁলগাঁও চৌধুরী পাড়ার বাসায় যায় আইনশৃৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

সূত্র জানায়, ঢাকা-১৮ উপনির্বাচনের কারণে ওই সময় উত্তরার দিকে ছিলেন খায়রুল কবির খোকন। আইনশৃংখলাবাহিনী বাসায় গিয়ে শুধু কাজের মেয়েকে পায়। পরে তারা বাসায় বিএনপি নেতাদের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে খায়রুল কবির খোকনের স্ত্রী শিরিন সুলতানা যুগান্তরকে বলেন, দুপুরে আমাদের বাসায় ডিবি পরিচয়ে সাদা পোশাকে কয়েকজন আসেন। আমাদের বাসায় না পেয়ে ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করে তারা চলে যান।

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুকসহ অন্তত ১০ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। দলের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে তাদের আটক করা হয়। দুপুরের পর কার্যালয়ের ভেতর থেকে যারাই বের হওয়ার চেষ্টা করেন তাদেরকেই আটক করে পুলিশ। রাত পর্যন্ত কার্যালয়ের ভেতরে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্সসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী অবরুদ্ধ ছিলেন।

ঢাকা-১৮ আসনে উপ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। দুপুরের দিকে রাজধানীতে কয়েকটি বাসে অগ্নিসংযোগের পর সেখানে অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি সাঁজোয়া যান ও জলকামানের গাড়ি প্রস্তত রাখা হয়। সাদা পোশাকেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেন।

দুপুরে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স সংবাদ সম্মেলন করে ভোটকেন্দ্র ‘দখল’, ধানের শীষের এজেন্টদের ‘বের করে দেওয়া’ এবং সাধারণ ভোটারদের কেন্দ্রে ‘ঢুকতে না দেওয়ার’ অভিযোগ করেন।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ মিছিল বের করে নেতা-কর্মীরা। মিছিলের পর তারা কার্যালয়ের সামনে জড়ো হলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। বাসে অগ্নিসংযোগের পর পুলিশ নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিলে নেতা-কর্মীরা অলি-গলিতে সরে যান। এরপর পুলিশ রাস্তার ওপর লাইন ধরে দাঁড়িয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here