নেপালের বিপক্ষে গোল শূন্য ড্র করেও সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ

0
111
সিরিজ জয়ের পর ট্রফি হাতে জামাল ভুঁইয়া। ছবি : ফোকাস বাংলা

বাংলা খবর ডেস্ক:
বাংলাদেশ নেপাল ফুটবল সিরিজের উৎসব ভাঙ্গল। ফিফা দুই প্রীতি ম্যাচ সিরিজের লড়াইয়ে বাংলাদেশ শেষ ম্যাচ নেপালের বিপক্ষে গোল শূন্য ড্র করেও সিরিজ জিতেছে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে রেফারি মিজানুর রহমানের বাঁশিতে ম্যাচটা শেষে হতেই আতশবাজির স্ফুরণ শুরু হয়। মশাল গেটের কাছে আকাশমুখি আতশবাজির বিকট শব্দ আকাশ কাঁপিয়ে দিল। সিরিজ জয়ের উৎসব দারুণভাবেই উপভোগ করল স্টেডিয়াম ভরা দর্শক।

ফুটবল সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ২-০ গোলে নেপালকে হারিয়ে এগিয়ে ছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে ১-০ গোলে হেরে গেলেও সিরিজ পেত বাংলাদেশ। কিন্তু দুই দলের লড়াই গোলের মুখ দেখেনি দর্শক। নেপাল চেয়েছিল ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে জয় নিয়ে ফিরবে। কিন্তু সেটা হয়নি ভাগ্য বিমুখ করেছে নেপালকে।

বাংলাদেশ ও নেপাল মুজিববর্ষ ফিফা দ্বিতীয় ম্যাচ দেখতেও মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিল দর্শক। আরো একটি জয় দেখার জন্য গ্যালারিতে বসেছিলেন। এই করোনাকালে ফুটবল মাঠে এতো দর্শক দেখে অবাকই হতে হয়। একটা জয় পাওয়ায় দর্শক মনে আরো একটা জয় দেখার তৃষ্ণা নিয়ে গিয়েছিলেন মাঠে। কিন্তু জামাল ভুঁইয়া, সুফিল, সুমন রেজা, সাদ উদ্দিন, তপুরা সেই চাওয়া পূরণ করতে পারেনি। বরং খেলার শেষ দিকে গিয়ে কানের কাছ দিয়ে গুলি চলে যাওয়ায় বেঁচে গেছে বাংলাদেশ। নেপালের নবযুগ শ্রেষ্ঠার হেড বাংলাদেশের গোলকিপার আশরাফুল ইসলাম রানা ড্রাইভ দিয়ে ধরতে পারেননি। বল পোস্টের গোড়ায় লেগে ফিরে আসলে নিশ্চিত হার থেকে বেঁচে যান জামাল ভুঁইয়ার বাংলাদেশ।

নেপাল জেনে নিয়েছে বাংলাদেশের আক্রমণ ঠেকাতে জীবনকে বন্দি করতে হবে। স্ট্রাইকিং পজিশনে জীবন এবং অনভিজ্ঞ সমুন রেজা নেপালের রক্ষণে ভাঙ্গন ধরাতে পারছিলেন না। পেছন থেকে বল ঠেলে দিলেও অনভিজ্ঞ সুমন রেজা নেপালের গোলকিপার কিরণ কুমারকে বিপদে ফেলতে পারলেন না। এই কিরণ কুমারকে আগের ম্যাচে বোকা বানিয়ে গোল করেছিলেন জীবন। সেই কিরণ আজ অনেক সতর্ক ছিলেন। কড়া নজর রেখেছিলেন বাংলাদেশের আক্রমণের দিকে। নিজের গোলপোস্টে যেন বল ঢুকতে না পারে সেটা ভালোভাবেই সামাল দিচ্ছিলেন কিরণ। জীবন মাঝ মাঠের উপর থেকে বলটা সুমনের দিকে ঠেলে দিলে সুমন বাম পায়ে শট নেন। বল ক্রসবারের উপর দিয়ে বাইরে চলে যায়। অথচ সময় নিয়ে দেখে শুনে শট নেয়ার সুযোগ কাজে লাগাতে পারতেন। একদিকে জমাল ভুঁইয়া, অন্যদিকে মিলন মোল্লার সহযোদ্ধা সাদ উদ্দিন, রহমত মিয়া। অন্তত চার বার ক্রস ফেলেছিলেন নেপালের গোল মুখে। কোনোবারই কাঁপন ধরাতে পারেনি। বরং শেষ মুহূর্তে নেপালের বদলী নবযুগ শ্রেষ্ঠার হেড জালে ঢোকেনি, নিশ্চিত হার হতে বেঁচে যায় বাংলাদেশ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here