করোনায় আরো ৩২ জনের মৃত্যু

0
125

বাংলা খবর ডেস্ক:
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরো ৩২ জন প্রাণ হারিয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬ হাজার ৯০৬ জন। এ ছাড়া করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে আরো ২ হাজার ২০২ জনের দেহে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত হলো ৪ লাখ ৮১ হাজার ৯৪৫ জন।

আজ মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, এদিন সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৫৭১ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ১ হাজার ১৯৪ জন।

এর আগে সোমবার (৭ ডিসেম্বর) দেশে আরো ২ হাজার ১৯৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এ ছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে মারা যান আরো ৩৬ জন।

মহামারির বড় চ্যালেঞ্জ বড়দিন: ফাউচি

ওদিকে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের মহামারিতে আসন্ন বড়দিনের পর সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউচি। তিনি বলেছেন, থ্যাংকসগিভিং ডে’র পর বাড়তে থাকা সংক্রমণ এখনও নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। তবে বড়দিন এবং নববর্ষের সময়কালে পর তার চেয়েও বেশি সংক্রমণ হতে পারে বলে হুঁশিয়ার করেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

করোনাভাইরাসের মহামারিতে যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৪৭ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে দুই লাখ ৮২ হাজারের বেশি মানুষের। থ্যাংকসগিভিং ডে’ শেষ হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে গড়ে প্রতিদিন দুই লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক মানুষকে হাসপাতালে নিতে হয়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে ক্যালিফোর্নিয়ায় আরোপ করা হয়েছে কঠোর লকডাউন।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে মহামারি ঠেকাতে মাস্ক পরার মতো বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। তবে এছাড়াও বিভিন্ন রাজ্য আলাদা পদক্ষেপ নেওয়ায় ভাইরাস মোকাবিলা জটিল হয়ে পড়ে দেশটিতে।

পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া জো বাইডেনের কোভিড বিষয়ক প্রধান পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ড. অ্যান্থনি ফাউচি জানিয়েছেন, থ্যাংকসগিভিং ডে’র চেয়ে বড়দিন ঘিরেই তার উদ্বেগ বেশি। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এটা আরও বেশি জটিল কারণ এতে ছুটি আরও বেশি দীর্ঘ। তিনি বলেন, ছুটির মৌসুমে কেউ পরিবর্তন কিংবা শাটডাউন চায় না। তবে ‘আমরা একটি জটিল সময় পার করছি… আর তথ্য উপাত্ত এড়িয়ে যেতে পারি না। আমাদের সবার জন্যই এটা কঠিন পরিস্থিতি হতে যাচ্ছে, বলেন তিনি।

থ্যাংকসগিভিং ডে ঘিরে ভ্রমণ না করতে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করলেও যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষ তা উপেক্ষা করেন। গত মার্চে মহামারি শুরুর পর এই ছুটির সময়েই সবচেয়ে বেশি মানুষ বিমান ভ্রমণ করেছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here