৬ বার করোনা টেস্ট তামিম-সাকিবদের

0
104

বাংলা খবর ডেস্ক:
এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার লড়াইয়ে ব্যস্ত মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম। এরইমধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ওয়ানডে সিরিজের জন্য ২৪ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে। অনুষ্ঠানিক ক্যাম্প শুরু হবে ১০ই জানুয়ারি। করোনা মহামারির মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজকে সামনে রেখে গতকাল থেকে কোভিড-১৯ নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছে বিসিবি’র মেডিকেল বিভাগ। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে টাইগারদের সংস্পর্শে আসতে পারে এমন সকলকেই রাখা হচ্ছে জৈব-সুরক্ষা বলয়ে। তবে ক্রিকেটারদের করোনা টেস্ট হবে ৭ ও ৯ই জানুয়ারি। এরইমধ্যে তারা উঠে যাবে হোটেলে। গোটা সিরিজে মোট ৬ বার এই টেস্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে তামিম ইকবাল ও মুমিনুল হক সৌরভের দলকে।
অন্যদিকে বাংলাদেশে আসার পর থেকে ফিরে যাওয়া পর্যন্ত ৫ বার পরীক্ষা হবে সফরকারীদের। এ বিষয়ে বিসিবি’র মেডিকেল বিভাগের প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী দৈনিক মানবজমিনকে বলেন, ‘আমরা আজ (গতকাল) থেকেই অনুষ্ঠানিকভাবে কোভিড-১৯ নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছি। দলের সঙ্গে যারা থাকতে পারে এমন অনেকের আজ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে ক্রিকেটারদের টেস্ট করা হবে ৭ ও ৯ই জানুয়ারি। ১০ তারিখের মধ্যে সকলকে জৈব সুরক্ষা বলয়ে হোটেলে উঠে যাবে। সব ক্রিকেটারদের ৬ বার আমরা করোনা পরীক্ষা করাবো। যদি কোনো কারণে প্রয়োজন হয় আরো দুই একবার বাড়ানো হতে পারে।’ প্রায় ১০ মাস বিরতির পর নতুন বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে যাচ্ছে বাংলাদেশে। সবকিছু ঠিক থাকলে ১০ই জানুয়ারি ঢাকায় পা রাখবে ক্যারিবীয় ক্রিকেট দল। এরপর থেকে ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজ চলাকালে মোট ৫ বার করোনা পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে সফরকারীদের। তবে তাদের মধ্যে কেউ করোনা পজেটিভ হলে বা লক্ষণ থাকলে বিসিবি রেখেছে বিশেষ ব্যবস্থা। এ বিষয়ে দেবাশিষ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য করোনা গাইডলাইন তৈরি করেছি। ধরেন তাদের ক্রিকেটার বা টিম ম্যানেজমেন্টের যেকোনো সদস্যের লক্ষণ দেখা দিলে তখন ওদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তাকে আমরা আইসোলেশনে পাঠাবো। আবার কারো পজেটিভ হলো সে ক্ষেত্রে জোরালো কোনো সসম্যা না থাকলে তাকে আমরা আইসোলেশন সেন্টারে রাখবো। আর যদি কারো অবস্থা সিরিয়াস হয় সেই জন্য আমরা ঢাকা চট্টগ্রামে হাসপাতালের ব্যবস্থা করেছি। ঢাকায় এভার কেয়ার হাসপাতালে আমাদের সব রকম ব্যবস্থা নেয়া আছে’। ২০ ও ২২শে জানুয়ারি ওয়ানডে সিরিজের দুটি ম্যাচ হবে মিরপুর শেরেবাংলা মাঠে। শেষ ম্যাচটি হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। সেখানেই ৩রা ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। এ ছাড়াও ওয়ানডে ও টেস্টের আগে ১টি করে প্রস্তুতি ম্যাচ হবে। তবে এইসব আয়োজনের মধ্যেই কঠোরভাবে করোনা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নিয়েছে বিসিবি। বিশেষ করে বিদেশি কোচদের ক্ষেত্রে নেয়া হচ্ছে বিশেষ সতর্কতা। এরইমধ্যে বাংলাদেশের ট্রেনার নিকোলাস লি ও ফিজিও জুলিয়েন ক্যালিফ্যাঁতো ২রা জানুয়ারি ঢাকায় এসেছেন। তাদের দু’জনের করোনা টেস্ট হয়েছে। তবে তাদের ফল নেগেটিভ হলেও মাঠে কাজ করার অনুমতি পেয়েছেন শুধু ট্রেনার লি। বিশেষ প্রয়োজন না হওয়াতে হোটেলেই আছেন ফিজিও জুলিয়েন। অন্যদিকে ৮ই জানুয়ারি প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো ঢাকায় পা রাখবেন। তার সঙ্গে একই দিনে ঢাকায় আসছেন পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন ও ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক। তারা এসেই যোগ দিতে পারবে না ক্যাম্পে। এ বিষয়ে বিসিবি’র প্রধান চিকিৎসক বলেন, ‘বিদেশ থেকে যারা আসছেন কোচ বা ট্রেনার তাদের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা নেয়া হচ্ছে। আমাদের ট্রেনার ও ফিজিওর করোনা টেস্ট নেগেটিভ হয়েছে। তারপরও আমরা মাঠে আসতে দিয়েছি শুধু ট্রেনারকে। ফিজিওর যেহেতু প্রয়োজন নেই তাই তাকে হোটেলেই রাখা হয়েছে। আর ৮ তারিখ প্রধান কোচসহ অন্য যারা আসবে বাইরে থেকে তাদের সরাসরি ক্যাম্পে যোগ দেয়া হবে না। আগে ঢাকায় এসে তাদের করোনা টেস্ট হবে। এরপরই তারা দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারবেন যদি নেগেটিভ থাকে। যদি অন্য কোনো সমস্যা না থাকে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here