বাংলা খবর ডেস্ক:
ক্রেমলিন ও পুতিন সমালোচক অ্যালেক্সি নাভালনিকে ৩০ দিনের বিচারপূর্ব কারাদণ্ড দিয়েছে রাশিয়ার আদালত। এর আগে জার্মানি থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলে পাসপোর্ট অফিস থেকেই নাভালনিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৪৪ বছর বয়সী নাভালনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও বিচার ব্যবস্থাকে অগ্রাহ্য করার অভিযোগ এনেছিলেন। ক্রেমলিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তারা নাভালনিকে নোভিচক বিষ প্রয়োগ করে হত্যা চেষ্টা চালিয়েছিল। রাশিয়া থেকে জার্মানি যাওয়ার পর সেখানকার মিলিটারি পরীক্ষায় বিষয়টি দাবি করা হয়। যদিও রাশিয়া বরাবরই এমন দাবি অস্বীকার করে আসছে।
নাভালনিকে গ্রেপ্তার করা নিয়ে, এরইমধ্যে কয়েকটি পশ্চিমা দেশ ও জাতিসংঘ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা বিষয়টিকে রাশিয়ার ভিন্নমত দমনের কৌশল হিসেবে দেখছে। জাতিসংঘ ও রাশিয়ার প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলো মস্কোর প্রতি নাভালনিকে মুক্তি দিতে চাপ দিচ্ছে।
নইলে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয়া হচ্ছে। তবে মস্কো স্পষ্ট করে জানিয়েছে, আভ্যন্তরীন কোনো ইস্যুতে যেনো অন্য কেউ নাক না গলায়।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছের কূটনৈতিক জ্যাক সালিভান, এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এই গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছেন। তবে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ পশ্চিমা দেশগুলোর এমন উদ্বেগকে নিজেদের জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হিসেবে দেখছেন। গ্রেপ্তারের সময় নাভালনির ভক্ত-সমর্থকরা পুলিশ স্টেশনের বাইরে বিক্ষোভ করছিলেন। তারা এ সময় পুতিনের পদত্যাগ চেয়ে স্লোগান দেন। এক টুইটার ভিডিওতে নাভালনি তার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন- ভয় পাবেন না, রাস্তায় নামুন। আমার জন্যে না, নিজেদের জন্যে, নিজেদের ভবিষ্যতের জন্যে। শনিবার নাভালনির সমর্থকরা সাড়া দেশে বিক্ষোভ করবে। তারা ১০ হাজার লোকের সমাবেশের অনুমতি চেয়ে মস্কো কর্তৃপক্ষের অনুমতি চেয়েছে। ঘটনার প্রেক্ষিতে লিথুনিয়া, লাটভিয়া, এস্তোনিয়া ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে অবরোধের ব্যাপারে চাপ দিবে বলে জানিয়েছে। নাভালনির মুক্তি না দিলে রাশিয়া নতুন করে কী কী অবরোধের মুখে পড়তে পারে তা এখনো অনিশ্চিত।