করোনা ভাইরাসে আরও ১৮ জনের মৃত্যু

0
85

বাংলা খবর ডেস্ক:
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮ হাজার ৪১ জন। নতুন করে ৬০২ জন শনাক্তসহ দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩২ হাজার ৪০১ জন।

সোমবার দুপুরে করোনা ভাইরাসের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫৬৬ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৯৭৯ জন।

বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। করোনার বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেই ৩১ মে থেকে দেশের সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে কয়েক ধাপ বাড়ানোর পর ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ছিল। সেই ছুটি ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

দেশের আবহাওয়ায় ভ্যাকসিন সবচেয়ে বেশি মানানসই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

অন্যান্য ভ্যাকসিনের তুলনায় আমাদের দেশের আবহাওয়ায় ভারতের দেওয়া অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রেজেনেকা ভ্যাকসিন সবচেয়ে বেশি মানানসই। আজ (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে একটি অনির্ধারিত প্রেস ব্রিফিং-এ অংশ নিয়ে এ কথা বলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

জাহিদ মালেক বলেন, এই ভ্যাকসিন বিশ্বের সবচেয়ে সহনশীল ও কার্যকর হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। এই ভ্যাকসিন পরীক্ষা শেষেই দেশে এসেছে। বর্তমানে সরকার দেশব্যাপী ৯ ধরনের ভ্যাকসিন প্রয়োগ করছে। সেখানেও ছোটখাটো কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে। ভ্যাকসিন প্রয়োগে কোনো ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তার জন্য স্বাস্থ্যখাতের টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ভ্যাকসিন পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে টেলিমেডিসিন সেবার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। সুতরাং সামান্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ভয়ে করোনার মতো জীবনঘাতি ভাইরাস প্রতিরোধে টিকা না নেওয়ার কোনো কারণ নেই।

ব্রিফিংকালে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর উপস্থিত ছিলেন।

সরকার যেখানে বলবে সেখানেই ভ্যাকসিন পৌঁছে দেবো: পাপন

বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, সরকার আমাদের ৬৪ জেলায় করোনার ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেছে। আমরা প্রতিটি জেলার সিভিল সার্জনের কাছে ভ্যাকসিন হস্তান্তর করবো। সরকার যেখানেই বলবে আমরা সেখানেই ভ্যাকসিন পৌঁছে দেবো।

রবিবার সন্ধ্যায় গুলশানের নিজ বাসভবন থেকে করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

নাজমুল হাসান পাপন বলেন, সরকারের করোনার টিকা পাওয়ার অগ্রাধিকারের তালিকায় ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের নাম নেই। কিন্তু যারা ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করে তারা সব চেয়ে বেশি করোনার ঝুঁকিতে রয়েছেন। কারণ করোনাকালে আমরা একদিনও কারখানা বন্ধ রাখতে পারিনি। উৎপাদিত ওষুধ বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দিতে হচ্ছে। তাই করোনার টিকা পাওয়ার অগ্রাধিকারের তালিকায় ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের নাম রাখতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here