বাংলা খবর ডেস্ক:
ট্রাম্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েকদিন আগে তাকে দ্বিতীয় দফায় অভিশংসন করেছেন প্রতিনিধি পরিষদ। তাকে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ ঘোষণারও প্রক্রিয়া চালাবে ডেমোক্র্যাটরা। তবে এরই মধ্যে ক্ষমতাহীন অবস্থায়ও রাজনীতিতে থাকতে তৎপরতা শুরু করেছেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম সিএনএন এর বরাতে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) প্রতিনিধি পরিষদের মাইনরিটি লিডার কেভিন ম্যাককার্থির সঙ্গে বৈঠক হয় ট্রাম্পের। এরপর তাঁর রাজনৈতিক অ্যাকশন কমিটি সেভ আমেরিকার দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা এখনকার মতো এতটা দৃঢ় কখনও ছিল না। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকান পার্টিকে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার কাজে ম্যাককার্থিকে সহযোগিতার জন্য রাজি হয়েছেন ট্রাম্প।
পাশাপাশি ম্যাককার্থিও আলাদা একটি বিবৃতি দিয়েছেন। সেখানে তিনি রিপাবলিকান পার্টিকে ‘ঐক্যবদ্ধ ও জয়ের জন্য প্রস্তুত’ বলে উল্লেখ করেছেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, প্রতিনিধি পরিষদে দলের নেতা হিসেবে রিপাবলিকানদের ঐক্যবদ্ধ রাখতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে ম্যাককার্থিকে। আগামী নির্বাচনে দলের বেশ কিছু আইনপ্রণেতার ক্ষেত্রে সংশয় রয়েছে। তাই তাঁদের জয়ের জন্য ট্রাম্পের সমর্থন প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে।
বাইডেনের গোয়েন্দা বিভাগে ফিলিস্তিনি মুসলিম:
ওদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের গোয়েন্দা শাখায় জ্যেষ্ঠ পরিচালক পদে ফিলিস্তিনি-আমেরিকান মাহের বিতারকে নিয়োগ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটরের প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে।
জানা গেছে, মাহের বিতার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম অভিশংসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। এ বিষয়ে হাউজ ইন্টেলিজেন্স কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডাম স্কিফ বলেন, আমার মনে হয় মাহেরের চেয়ে ভালো এই পদে আর কেউ হতে পারে না।
মাহের বিতার যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের ইসরাইল-ফিলিস্তিন বিষয়ক বিভাগের প্রধান হিসেবেও কাজ করেছেন।