বাংলা খবর ডেস্ক:
চট্টগ্রাম টেস্টে দ্বিতীয় দিনের শুরুটা ভালোই করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তৃতীয় ওভারে লিটন দাসকে ফেরত পাঠিয়ে বাংলাদেশ সমর্থকদের মনে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলেন ক্যারিবিয়ান স্পিনার ওয়ারিকান। এর পর ২৪৮ রানে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশকে ৩০০ রানে বেঁধে ফেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ—এমন আশঙ্কাও তৈরি হয়েছিল। তবে অতিথিদের দাপট ছিল ঐ পর্যন্তই।
খেলা যতই গড়াতে থাকে ততই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে থাকে বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে লিটন-সাকিবকে হারালেও রানের চাকা থামেনি তাদের। লোয়ার মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা বাংলাদেশের স্কোরকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়ে দেন। ব্যাটিং স্বর্গ হিসেবে পরিচিত জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সাকিব করেন ক্যারিয়ারের ২৫তম ফিফটি। প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির আনন্দে ক্রিজে উল্লাস করেন তরুণ অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৬৮ বল খেলে ১৩ চারে ১০৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি। শেষের দিকে তাইজুলের ১৮, নাঈম হাসানের ২৪ এবং মুস্তাফিজের অপরাজিত ৩ রান চট্টগ্রাম টেস্টে চালকের আসনে বসিয়েছে স্বাগতিকদের।
চা-বিরতি পর্যন্ত ব্যাটিং করে ৪৩০ রানে প্রথম ইনিংস শেষ করে বাংলাদেশ। জোমেল ওয়ারিকান চারটি, রাকিম কর্নওয়াল দুটি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন শ্যানন গ্যাব্রিয়েল, কেমার রোচ ও এনক্রুমা বোনার। বিকালের সেশনে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান জন ক্যাম্পবেল ও শেন মোসলির উইকেট হারিয়ে ক্যারিবিয়ানরা করেছে ৭৫ রান। দুটি উইকেটই নিয়েছেন পেসার মুস্তাফিজ। ব্রেথওয়েট ৪৯ রানে এবং এনক্রুমা বনার ১৭ রানে অপরাজিত রয়েছেন। দিন শেষে ৩৫৫ রানে এগিয়ে আছে মুমিনুল হকের দল।
দিনের শুরুতে সাকিব ও লিটনের ৫৫ রানের জুটি ভাঙে ওয়ারিকানের বল কাট করতে গিয়ে লিটন বোল্ড হলে। ৩৮ রান করেন তিনি। লিটন বিদায় নেওয়ার পর মিরাজকে নিয়ে জুটি বাঁধেন সাকিব। এই জুটি ৬৭ রান যোগ করার পর সাকিবকে ফেরান স্পিনার কর্নওয়াল। ব্রেথওয়েটের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হওয়ার আগে ৬৮ রান করেন সাকিব। তার পর সাগরিকায় ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন মিরাজ। দুই বার জীবন পেলেও ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছেন তিনি।
তাইজুলকে নিয়ে অষ্টম উইকেটে ৪৪ রানের জুটি গড়েন মিরাজ। নবম উইকেটে নাঈমের সঙ্গেও ৫৭ রানের জুটি গড়েন তিনি। তাতেই ৪০০ পার হয় বাংলাদেশের স্কোর। বনারের বলে প্লেড অন হওয়া নাঈম ২৪ রান করেন। পরে মুস্তাফিজকে নিয়েই সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মিরাজ। ওয়ারিকানের বলে সুইপ করে তিন অংকের ঘর স্পর্শ করেন এ তরুণ। কর্নওয়ালের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে মিরাজ আউট হলে শেষ হয় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।