বাংলা খবর ডেস্ক:
২০০৯ সালে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় শ্রীলঙ্কার সুরাজ রনদিভের। ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালেও ৯ ওভার বল করেন এই অফস্পিনার। কালের পরিক্রমায় বাস চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন এই ক্রিকেটার।
২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমান রনদিভ। মেলবোর্নে ফরাসিভিত্তিক বাস কোম্পানি ট্রান্সডেভের বাস চালান তিনি। রনদিভ ছাড়াও শ্রীলঙ্কার আরেক ক্রিকেটার চিন্থাকা নামাস্তে এবং জিম্বাবুয়ের ওয়েডিংটন মোয়ায়েঙ্গাও একই কোম্পানির হয়ে বাস চালান।
এই তিন ক্রিকেটারই স্থানীয় ক্রিকেট ক্লাব ডান্ডেনাংয়ের হয়ে খেলেন। ক্লাবটি ভিক্টোরিয়া প্রিমিয়ার ক্রিকেটের অধীনে রয়েছে। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতাতেও অংশ নেয়। এই ক্লাবের হয়ে জেমস প্যাটিনসন, পিটার সিডলের মতো তারকারাও খেলেন।
তবে ভবিষ্যতে ট্রান্সডেভই নিজেদের ক্রিকেট দল বানাবে বলে আশা রনদিভদের।
ভারতীয় ক্রিকেট দলের সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়া সফরে স্বাগতিক দলের অনুশীলনে নেট বোলার হিসেবে কাজ করেন রনদিভ। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া থেকে আমাকে ডাকা হয় নেটে অজিদের বল করতে। যেহেতু ক্রিকেট ভালোবাসি, তাই সুযোগটি হাতছাড়া করিনি।’
ছয় বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার সবমিলিয়ে ৫০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন শ্রীলঙ্কার অফস্পিনার সুরাজ রানদিভ। লঙ্কানদের জার্সিতে ১২ টেস্ট, ৩১ ওয়ানডে ও ৭ টি- টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে যথাক্রমে উইকেট পান ৪৩, ৩৬ ও ৭। তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন নিঃসন্দেহে ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা। সেই ফাইনাল ম্যাচে ৯ ওভারে ৪৩ রান খরচায় উইকেটশূন্য ছিলেন রানদিভ।
জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগেও (আইপিএল) খেলেছেন রনদিভ। চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে দুই মৌসুম খেলেন তিনি। তার দাম ছিল ৭৫ লাখ রুপি।