বাংলা খবর ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক ভাষণ, কারণ এই ভাষণ বিশ্বের শোষিত মানুষের অধিকার আদায়ের ভাষণ। ৭ই মার্চ রবিবার জুম কনফারেন্সে আয়োজিত যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. নুরুন নবী এবং সভা পরিচালনা করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বীকৃতি বড়ুয়া। আলোচনা সভায় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতৃবৃন্দ সংযুক্ত হন।
আলোচনা সভায় ডঃ নুরুন নবী জাতির জনকের ৭ই মার্চের ভাষণের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন এবং ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চে রেসকোর্স ময়দানে নিজের উপস্থিত থাকার অভিজ্ঞতার কথা বলেন। তিনি বলেন পাকিস্তান সৃষ্টি হওয়ার পর পরেই বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন পাকিস্তানের যে স্ট্রাকচার, তাতে বাঙালীদের স্বার্থ রক্ষা হবে না। তখন তিনি পরিকল্পনা করতে থাকেন কিভাবে বাঙ্গালীদের অধিকার আদায়ে এগিয়ে যাওয়া যায়। তারপর তিনি ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন, ৫২-এর ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন পেছন থেকে এবং তখনি তিনি বাঙালী জাতীয়তাবাদের বীজ রোপণ করেন। সেই থেকে শুরু করে বাঙ্গালী জাতির অধিকার আদায়ে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের নেতৃত্ব দেন বঙ্গবন্ধু এবং সেই আন্দোলন সংগ্রামের চূড়ান্ত রূপ হচ্ছে ৭ই মার্চ, যেই ৭ই মার্চের ভাষণে ৭ কোটী বাঙালীকে একত্রিত করতে পেরেছিলেন।
সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চে মাত্র ১৮ মিনিটের অলিখিত ভাষণে বঙ্গবন্ধু শুধু দেশের স্বাধীনতা অর্জনের দিক নির্দেশনাই দিয়ে যাননি, স্বাধীনতা পরবর্তী অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তির কথাও তিনি বলে গেছেন। এই ভাষণ আজ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাষণের একটি। অসংখ্য ভাষায় অনূদিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ। এটি ইউনেসকোর বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যা গোটা দেশ ও জাতির জন্য অত্যন্ত গর্বের। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় বঙ্গবন্ধুকে আমরাই রক্ষা করতে পারিনি, এটা আমাদের বাঙালীদের ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছুই নয়। বক্তারা আরও বলেন, আজ বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশকে যদি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করতে হয়, তাহলে শেখ হাসিনা ছাড়া কোন বিকল্প নেই।
সভায় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের উপদেষ্টা যতাক্রমে বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ ও এম এ সালাম (নিউজার্সি) সহ সভাপতি যথাক্রমে ফাহিম রেজা নূর ও আব্দুর রহমান বাদশা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রাফায়েত চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন আহমদ সোহাগ, সদস্য শেখ আতিকুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রহমান, অধ্যাপক শাহদাৎ হাসান, বঙ্গবন্ধু পরিষদ বৃহত্তর ওয়াশিংটন শাখার সভাপতি দস্তগির জাহাঙ্গীর ও সাধারণ সম্পাদক নাসরিনা আহমেদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ক্যালিফোর্নিয়া শাখার সহসভাপতি শওকত আলম ও সাধারণ সম্পাদক রানা মাহমুদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ মিশিগান শাখার সদস্য সচিব সাঈদ রহমান, প্রমুখ। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ মিশিগান শাখার আহ্বায়ক আহাদ আহম্মদ ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ বোস্টন শাখার আহ্বায়িকা সফেদা বসু।