বাংলা খবর ডেস্ক:
করোনা নিয়ে চীনের সঙ্গে যে কোল্ড ওয়ার শুরু হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের, তা ক্রমশ অন্যমাত্রা পাচ্ছে জো বাইডেন প্রশাসনের কড়া মনোভাবে। চীনের ওপর ক্রমশ চাপ বাড়াচ্ছে আমেরিকা। আমেরিকার দাবি অর্থনৈতিকভাবে তাদের ক্ষতিগ্রস্ত করতেই চীন করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে।
শেষ কয়েক বছর ধরে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে জিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুর মুসলমানদের ওপর অত্যাচার বাড়িয়েছে চীন। গণহত্যা থেকে শুরু করে মহিলাদের ধর্ষণ, উইঘুরদের দাবিয়ে রাখতে এমন কোনও পদক্ষেপ নেই যা গ্রহণ করেনি জিনপিং প্রশাসন।
প্রতিবাদ করলে গুম করা হচ্ছে। উইঘুরদের ধর্ম ও সংস্কৃতির ওপর গায়ের জোরে কমিউনিজম চাপিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে তাদের ধর্মীয় শিক্ষা নিষিদ্ধ করে মসজিদ-মাদ্রাসা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে ধর্ম পালনের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। এসবের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করলে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সহায়তায় হাজার হাজার নিরীহ উইঘুরকে হত্যা করা হয়।
কমিউনিস্টরা উইঘুরদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ধর্ম ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য চিনের অন্য অঞ্চল থেকে হান চিনাদের এখানে এনে পুনর্বাসন করেছে। বর্তমানে নিজেদের ভূখণ্ডে উইঘুরদের হার প্রায় ৪৬ শতাংশ।স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, উইঘুর গণহত্যা নিয়ে মুখ খুলতে চিনকে বাধ্য করবে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি উইঘুর সম্প্রদায়ের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে স্পিকার ন্যান্সি এ কথা বলেন। ক্যাম্পেইন ফর উইঘুরস (সিএফইউ) এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এ সব কথা বলেন।
উইঘুরদের বর্তমান অবস্থা কী এবং এ গণহত্যা বন্ধে কী ধরণের আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয় সভায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও উইঘুর গণহত্যা নিয়ে কথা বলেছেন এবং চিনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে চিনকে এক ঘরে করা সম্ভব। সেটা মাথায় রেখেই এগোতে চায় বাইডেন প্রশাসন।