দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু ৫২ জন

0
655

বাংলা খবর ডেস্ক:
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরো ৫২ জন। যা গত সাত মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯ হাজার ৪৬ জনে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৫ হাজার ৩৫৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ১১ হাজার ২৯৫ জনে।

আজ বুধবার (৩১ মার্চ) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, এ দিন সুস্থ হয়েছেন আরো ২ হাজার ২১৯ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৪২ হাজার ৩৯৯ জন।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) দেশে আরো ৫ হাজার ৪২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এ ছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে মারা যান আরো ৪৫ জন।

স্বাস্থ্যবিধি না মানায় করোনার বিস্তার: প্রধান বিচারপতি

দেশে করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণেই আবার করোনাভাইরাসের বিস্তার ঘটছে। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। করোনার যে ধরনটা দেখা যাচ্ছে, সেটা তো ব্যাপকভাবে বিস্তার ঘটাচ্ছে।’

আজ বুধবার (৩১ মার্চ) সকালে সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন ছুটির পর আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল বিচারিক কার্যক্রমের শুরুতে তিনি এসব পরামর্শ দেন। একইসঙ্গে তিনি আদালতঙ্গনে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন।

আদালত অঙ্গন অনেক বেশি সংক্রমণ ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি না মানা ও মাস্ক না পরায় করোনা বাড়ছে। কাজেই আদালতে প্রবেশের সময় আইনজীবী ও আদালত সংশ্লিষ্টদের অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। অন্যথায় সংক্রমণ বাড়তেই থাকবে।’

করোনাভাইরাসের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিচারক ও আইনজীবীদের কালো কোট এবং গাউন পরিধান করার প্রয়োজন নেই বলে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। সে অনুযায়ী আজ বিচারপতি ও আইনজীবীরা কালো কোট ও গাউন ছাড়াই মামলার শুনানি করছেন।

করোনা ভাইরাস নিয়ে ডব্লিউএইচওর টিমকে সব তথ্য দেয়নি চীন: মহাপরিচালক

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের উৎস অনুসন্ধানে গবেষণার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) যে দলটি চীনে গিয়েছিল তাদেরকে এ মহামারী নিয়ে সব তথ্য দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গ্যাব্রিয়াসুস।

২০১৯ সালের শেষের দিকে চীনের উহান শহর থেকে সারা বিশ্বে কোভিড-১৯ মহামারী ছড়িয়ে পড়ে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম শনাক্ত হওয়ার এক বা দুই মাস আগে থেকে এটি ছড়ানো শুরু হয়েছিল বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি খসড়া রিপোর্টে বলা হয়েছিল।

ঠিক কোথা থেকে এ রোগ মানবদেহে প্রবেশ করেছে তা জানতে ডব্লিউএইচও-র স্বাধীন গবেষকদের একটি দল গত জানুয়ারিতে চীনে যায় এবং চার সপ্তাহ ধরে উহানের ভেতরে ও চারপাশে অনুসন্ধান চালায়। চীন তাদেরকে একেবারে প্রাথমিক তথ্য (র ডেটা) দেয়নি বলে জানান ডব্লিউএইচও-র মহাপরিচালক।

যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশ চীনকে দ্রুত ডব্লিউএইচও-র গবেষক দলকে সব জায়গায় স্বাধীনভাবে অনুসন্ধান চালানোর এবং সব তথ্য প্রদানের আহ্বান জানিয়েছে।

ডব্লিউএইচও-র চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, খুব সম্ভবত ভাইরাসটি বাদুড় থেকে অন্য প্রাণী হয়ে মানব দেহে প্রবেশ করেছ। সেখানে আরো বলা হয় গবেষণাগার থেকে ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা ‘খুবই কম’।

চীনের বিজ্ঞানী এবং ডব্লিউএইচও নেতৃত্বাধীন দল যৌথভাবে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। তবে ডব্লিউএইচও দলের একজন এরই মধ্যে বলেছেন, চীন কোভিড-১৯ শনাক্তের একেবারে শুরুর দিকের প্রাথমিক তথ্য তাদের দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। যে কারণে, কিভাবে এই মহামারী বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে তা বুঝতে পারা তাদের জন্য অনেক বেশি জটিল হয়ে পড়ছে।

মঙ্গলবার তেদ্রোস বলেন, দলের সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছে। তারা বলেছেন, তারা প্রাথমিক তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে বেশ অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন। আমি ভবিষ্যতে আরো সময় নিয়ে আরো বিস্তৃত তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে আরো সহযোগিতামূল গবেষণা দেখতে চাই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here