নিউইয়র্কয়ে রোজিনার মুক্তি ও দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি

0
59
ছবি: বাংলা খবর

বাংলা খবর ডেস্ক,নিউইয়র্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বাংলাদেশি সাংবাদিক ও লেখকরা প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের মুক্তি ও তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার্সিটি প্লাজায় এক প্রতিবাদ সমাবেশে বাংলাদেশি সাংবাদিক ও লেখকরা এসব দাবি জানান। সমাবেশে নিউইয়র্কসহ আশপাশের রাজ্য থেকে সাংবাদিক, লেখক ও জনসমাজের প্রতিনিধিরা যোগ দেন।

বক্তারা বলেন, রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা ও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের মাধ্যমে বাংলাদেশে সাংবাদিকতার কণ্ঠ চেপে ধরার চেষ্টার নগ্নরূপ ফুটে উঠেছে। এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।

ডাইভার্সিটি প্লাজার সমাবেশে হাতে লেখা পোস্টার নিয়ে প্রতিবাদকারীরা অংশ নেন। সমাবেশ শুরু হলে অন্যান্য কমিউনিটির মানুষকেও সংহতি জানাতে দেখা যায়। সাংস্কৃতিক সংগঠক তোফাজ্জল লিটনের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাপ্তাহিক পরিচয় সম্পাদক নাজমুল আহসান, বাংলা খবর ডট নেট এর সম্পাদক শওকত ওসমান রচি, প্রথম আলোর নিউইয়র্ক ব্যুরো চীফ ইব্রাহীম চৌধুরী, সাপ্তাহিক প্রবাস সম্পাদক মোহাম্মদ সাঈদ, সাংবাদিক আবু তাহের,শামীম আহমেদ, মনিজা রহমান, শহীদুল ইসলাম,শামীম আল আমীন,নিহার সিদ্দিকী, মনজুরুল হক,শাখাওয়াত হোসেন। এছাড়া বিশিষ্টজনদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্রবীণ আইনজীবী শেখ আখতারুজ্জামান, যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আবদুল মুকিত চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চৌধুরী,বিশ্বজিত সাহা, এফ এফ এম মিসবাউজ্জামান, এ বি এম সালাহ উদ্দিন, এম বি তুষার, এইচ বি রিতা, রওশন হক, গোপাল সৈন্যাল, রোকেয়া দীপা, রওশন আরা, শিরিল হাসান, জাকির হোসেন, মাহমুদুল চৌধুরী, আবদুশ শহীদ, মাহবুবুর রহমান, ফকু চৌধুরী, ইমাম কাজী কাইয়্যুম প্রমুখ।

আইনজীবী শেখ আখতারুজ্জামান বলেন, রোজিনা ইসলামের নামে যে মামলা করা হয়েছে, তার সারমর্ম দেখলেই বোঝা যায় এই মামলা বিদ্বেষপ্রসূত। এ মামলার কোনো ভিত্তি নেই।

ডাইভার্সিটি প্লাজার সমাবেশের কিছুক্ষণ পরপর রোজিনা ইসলামে মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেওয়া হয়। অবিলম্বে মুক্তি দেয়া না হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে বক্তারা উল্লেখ করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here