বাংলা খবর ডেস্ক,ঢাকা:
দলীয় ৯৯ রানে চতুর্থ উইকেট খোয়ায় বাংলাদেশ। তবে পরে ক্যারিয়ারের ৪০তম অর্ধশতক পূর্ণ করেন মুশফিকুর রহীম। ধাক্কা সামলে ক্রিজে তাকে সঙ্গ দেন আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। এতে ছয় উইকেট হারিয়ে ইনিংস শেষে ২৫৭ রানে পুঁজি পায় বাংলাদেশ। পঞ্চম উইকেটে মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহ গড়েন ১০৯ রানের জুটি। ৪৩.১তম ওভারে মুশফিকের বিদায়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২০৮/৫-এ। ৮৭ বলে ৮৪ রান করেন মুশফিক। এতে মুশফিক হাঁকান চারটি চার ও একটি ছক্কা।
পরে অর্ধশতক পূর্ণ করেন মাহমুদুল্লাহও। ৭৪ বলে ৫৪ রান করেন মাহমুদুল্লাহ। আর শেষ দিকে ব্যাট হাতে নৈপুণ্য দিয়ে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন দুই তরুণ অলরাউন্ডার আফিফ হোসেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। ২২ বলে অপরাজিত ২৭ রান করেন আফিক। আর ৯ বলে ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন অপর তরুণ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।
টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার মধ্যে উজ্জ্বল তামিম ইকবাল। পরিণত ব্যাটিংয়ে তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫১তম হাফসেঞ্চুরি। আর ফিফটি পূরণ করার পর ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার উইকেটে পরিণত হন টাইগার অধিনায়ক। পরের বলেই মোহাম্মদ মিঠুনকেও সাজঘরে ফেরান এই লঙ্কান স্পিনার। অহেতুক সুইপ খেলতে গিয়ে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন মিঠুন।
টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো করেনি বাংলাদেশ। তামিম ইকবালের সঙ্গে ব্যাট করতে নেমে উইকেট হারিয়েছেন লিটন দাস ও সাকিব আল হাসান। একপাশ আগলে রেখে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন অধিনায়ক তামিম। ৭০ বলের ইনিংসে ৫২ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ধনাঞ্জয়ার করা ২২তম ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তামিম। পরের বলেই মোহাম্মদ মিঠুনকে সাজঘরে ফেরান ধনাঞ্জয়া।