কঙ্গোয় ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাত : শতাধিক ঘর-বাড়ি পুড়ে ছাই, ১৫ মৃত্যু

0
329

বাংলা খবর ডেস্ক:
আফ্রিকা মহাদেশের অন্যতম রাষ্ট্র কঙ্গোয় একটি আগ্নেয়গিরির ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতে হতাহত-নিখোঁজ ও বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শহর গোমা থেকে ছয় মাইল দূরে অবস্থিত নাইরাগঙ্গো পর্বতের আগ্নেয়গিরিতে গতকাল রোববার এ অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৭০ শিশু নিখোঁজের আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রায় দেড়শজন তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পুড়ে গেছে শতাধিক ঘর-বাড়ি।

আজ সোমবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গতকাল রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটে। এরপরই পুরো শহর খালি করার নির্দেশ দেয় দেশটির সরকার। কঙ্গোর স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এখন পর্যন্ত ১৫ জন মানুষের মৃত্যুর কথা বলেছে।

গতকাল রোববার কঙ্গো সরকারের মুখপাত্র প্যাট্রিক মুয়ায়া এক বিবৃতিতে জানান, নিহত ১৫ জনের মধ্যে নয়জন শহর থেকে পালানোর সময় পদদলিত হয়ে মারা গেছেন। দুজন লাভার আগুনে মারা গেছেন। বাকি চারজন মৃত্যুর শিকার হয়েছেন কারাগার থেকে পালানোর সময়। মৃত্যুর সংখ্যা বাড়বে বলেও তিনি আশঙ্কা করছেন।

১৭০ শিশুর নিখোঁজের কথা জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। ১৫০ জন তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার তথ্যও দেয় সংস্থাটি। তারা এও বলছে, নিখোঁজদের উদ্ধার সহায়তা ও যারা বিচ্ছিন্ন হয়েছেন, তাদের সেবায় ঘটনার এলাকায় একটি কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।

বিবিসির খবরে আরও বলা হয়েছে, লাভার আগুনে বহু বাড়ি ঘর পুড়ে গেছে। এর সংখ্যা শ’য়ের অধিক হবে বলে জানিয়েছে নাইরাগঙ্গো ও গোমা এলাকার লোকজন। ছোট ছোট কাঠের ঘরগুলো পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বড় বড় বিল্ডিংয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতগুলো ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য মাসেরও বেশি সময় লাগবে।

সর্বশেষ ২০০২ সালে নাইরাগঙ্গো পর্বতের আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল। সে সময় অন্তত ২৫০ জনের প্রাণহানী ঘটে। গৃহহীন হয়ে পড়ে এক লাখ ২০ হাজার নাগরিক। ১৯৭৭ সালেও এ পর্বতে অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটে। তখন ৬০০ মানুষ মারা গিয়েছিল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here