বাংলা খবর ডেস্ক,ঢাকা:
ফের বাড়ানো হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি। আগামী ১২ জনু পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হয়েছে। আজ বুধবার (২৬ মে) দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এমনটিই জানালেন। এই সময়ে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
চলমান করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সার্বিক নিরাপত্তার বিবেচনায় এবং কভিড ১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে পরামর্শক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
করোনা মহামারির কারণে সবশেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি আগামী ২৯ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনলাইন রেডিও এবং সংসদ টিভিতে পাঠদানের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
আর গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন তথা মানুষের চলাচল ও সার্বিক কার্যক্রমে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়। তা ৩০ মে পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। তবে ২৪ মে থেকে গণপরিবহন চালু করা হয়েছে।
‘২০২২ সালের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষাও সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে’
চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষাকার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি। আজ বুধবার (২৬ মে) দুপুর ১২টায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০২২ সালের এসসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে। ২০২১ সালে এসএসএসি পরীক্ষার্থীরা ৬০ দিন এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা ৮৪ দিন ক্লাসের পর পরীক্ষায় অংশ নেবে। ২০২২ সালের পরীক্ষার্থীরা যথাক্রমে ১৫০ দিন ও ১৮০ দিন ক্লাস করবে। তারপর পরীক্ষায় অংশ নেবে।
এর আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান ছুটি আগামী ১২ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমাদের যে পরিস্থিতি আছে মহামারির, তার সাথে সম্প্রতি ঈদযাত্রার কারণে কিছুটা সংক্রমণের হার বেড়েছে। কোনো কোনো জেলায় সংক্রমণের হার বেশ বেড়েছে। সে কারণে সবগুলো বিষয় বিবেচনা করেই ১২ জুন পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়েছে।’
ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আশা করি অবস্থার উন্নতি হলে, আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারব। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের সব স্কুল খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি আমাদের আছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা যেন প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিতে পারি, সে নির্দেশনা দেওয়া আছে।’