বাংলা খবর ডেস্ক,ঢাকা:
রাজধানীর মহাখালীর সাততলা বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৭ জুন) ভোর ৫টার দিকে এই আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে ফায়ার সার্ভিসের ১৮ টি ইউনিট। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার কামরুল হোসেন জানান, আগুন লাগার খবরে ফায়ার সার্ভিসের একে একে ১৮ টি ইউনিট ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। বস্তির অন্তত এক হাজারের বেশি ঘর পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা।
ভয়াবহ এই আগুন নেভাতে পার্শ্ববর্তী জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালসহ বিভিন্ন জলাশয় থেকে পানি এনেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের পাশাপাশি বস্তির বাসিন্দারাও আগুন নেভাতে চেষ্টা করেন। তবে এখনো কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
অগ্নিকাণ্ডের পর প্রথম আটটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকলে আরও বাড়ানো হয় ইউনিটের সংখ্যা। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পাশাপাশি পুলিশ ও র্যাব নিরাপত্তার দায়িত্বে কাজ করছে।
‘অবৈধ গ্যাস-বৈদ্যুতিক সংযোগ থেকে সাততলা বস্তিতে আগুন’
অবৈধ গ্যাস ও বৈদ্যুতিক সংযোগ থেকে মহাখালীর সাততলা বস্তিতে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন।
তিনি বলেন, ‘এখানে অনেক অবৈধ গ্যাস ও বিদ্যুতের লাইন রয়েছে। আমরা প্রাথমিকভাবে মনে করছি, এই দুইটার থেকে যেকোনো একটি কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।’
আজ সোমবার (৭ মার্চ) সকাল ৭টায় ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ফায়ার সার্ভিসের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, ‘আমরা অগ্নিকাণ্ডের খবর পাই ভোর ৩টা ৫৯মিনিটে। ১৩ মিনিটের মধ্যে আমাদের প্রথম ইউনিট ৪টা ১২ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং তখন থেকে আমরা কাজ করছি। পরে ভোর ৬টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘বস্তিতে টিনের ঘর অনেক বেশি সেপারেশন হওয়ায় আমাদের আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আমাদের ১৮টি ইউনিট কাজ করেছে। এখন পর্যন্ত আগুনে কোনো হতাহতের ঘটনা আমাদের চোখে পড়েনি, কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনই বলা সম্ভব নয়, তবে শতাধিক ঘর পুড়ে গেছে বলে আমরা ধারণা করছি। ঘরে থাকা আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।’