বাংলা খবর ডেস্ক,ঢাকা:
করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে আরও ১২ জন মারা গেছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সোমবার সকাল ৯টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টার মধ্যে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তাদের মৃত্যু হয়।
তাদের মধ্যে ৮ জন করোনায়, তিনজন করোনা উপসর্গ নিয়ে এবং একজন করোনা সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠা রোগী। এর আগে গত ১ জুন মারা যান ৭ জন, ২ জুন মারা যান ৭ জন, ৩ জুন মারা যান ৯ জন, ৪ জুন মারা যান ১৬ জন, ৫ জুন মারা যান ৮ জন, ৬ জুন মারা যান ৬ জন, ৭ জুন মারা যান ৭ জন, ৮ মে মারা যান ৮ জন, ৯ জুন মারা যান ৮ জন, ১০ জুন মারা যান ১২ জন, ১১ জুন মারা যান ১৫ জন, ১২ জুন মারা যান ৪ জন, ১৩ জুন মারা যান ১৩ জন এবং ১৪ জুন ১২ জন হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন।
রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালে ১২ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে হাসপাতালের আইসিইউতে চারজন মারা গেছেন। তিনজন করে মারা গেছেন ৩ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে। এ ছাড়া ১৬ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডে একজন করে মারা গেছেন।
সোমবার (১৪ জুন) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল ল্যাবে ১৮৭ জনের এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাবে ৩৭১ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে রামেক হাসপাতাল ল্যাবে ৪০ ও রামেক ল্যাবে ১৩৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষার অনুপাতে নওগাঁয় সবেচেয়ে বেশি ৪৭ দশমিক ২৫ শতাংশ নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়। এ ছাড়া নাটোরে ৩৩ দশমিক ৩৩, রাজশাহীতে ৩০ দশমিক ৯২ শতাংশ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২১ দশমিক ৩৬ শতাংশ নমুনায় করোনা ধরা পড়েছে।
সাতক্ষীরায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বেড়ে প্রায় ৪৯ শতাংশ:
ওদিকে সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার বেড়ে প্রায় ৪৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় এই হার ছিল ৪৭ দশমিক ৩১ শতাংশ।
একই সময়ে সাতক্ষীরায় করোনা পজিটিভ হয়ে তিন জন মারা গেছেন। এ পর্যন্ত জেলায় করোনা শনাক্ত হয়ে ৫৬ জন মারা গেছেন। জেলায় এ পর্যন্ত করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ২৮৪ জন।
আজ মঙ্গলবার জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয় ও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৯১ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
জেলায় বর্তমানে করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ৭৪১ জন। এর মধ্যে ৭০৩ জন বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং ৩৮ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।