বাংলা খবর ডেস্ক,ঢাকা:
আগামী ১-৭ জুলাই পর্যন্ত কঠোর লকডাউন চলাকালে সাধারণ ছুটি থাকবে না। তবে নিষেধাজ্ঞা থাকবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদসচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
আজ সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেন, লকডাউন আর রেস্ট্রিকশনের মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে। লকডাউন মানে টোটাল ক্লোজ করতে হয়, কিন্তু টোটাল ক্লোজ করে দিলে তো পারবেন না। অনেক কিছুই খোলা রাখতে হয়।
তাহলে লকডাউন বা শাটডাউন কিছুই নয়, নিষেধাজ্ঞা কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেখা যাক, আমরা এটিকে কী শব্দ বলি। তবে মিনিমাম নিষেধাজ্ঞা আরকি। ১ তারিখ ভোর ৬টা থেকে ৭ তারিখ রাত ১২টা পর্যন্ত স্ট্রিক্ট ভিউতে যাচ্ছি আমরা। খুবই স্ট্রিক্ট ভিউতে, কারণ চারটি জেলার সঙ্গে আমরা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বিস্তারিত পর্যালোচনা করে দেখেছি। সেখানে বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি, ডিআইজি, এসপি, সিভিল সার্জন, পরিচালক, জনপ্রতিনিধি, মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান সবাই ছিলেন। সবারই বক্তব্য এবং সেখানে গ্রাফিক প্রেজেন্টেশন তাতে দেখা যাচ্ছে যে, দেশের একটা বড় অংশ অরেঞ্জ, রেড বা ব্রাউন হয়ে যাচ্ছে। সুতরাং এখন আমাদের বিধি-নিষেধ আরোপ করা ছাড়া উপায় নেই।
মুভমেন্ট পাস বিষয়ে তিনি বলেন, এবার মুভমেন্ট পাস থাকবে না। কেউ বের হতে পারবে না, পরিষ্কার কথা। যারা জরুরি কাজের সঙ্গে জড়িত তারা চলাচল করবে। দাফন-কাফনের কাজ করা যাবে। কোনো রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাবেন সেটা যেতে পারবেন।
কঠোর বিধি-নিষেধের বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলেও জানান তিনি।
সীমিত পরিসরে ‘লকডাউন’ শুরু:
ওদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আজ থেকে দেশজুড়ে সীমিত পরিসরে ‘লকডাউন’ শুরু হয়েছে। এই সময় থেকে গণপরিবহন ও শপিংমল বন্ধ রেখে এবং অফিস-আদালতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল নিয়ে সীমিত পরিসরে চালু রাখা হয়েছে। অফিস যাতায়ত ও জরুরি প্রয়োজনে মানুষ ব্যবহার করছে ব্যক্তিগত যানবাহন। একই সঙ্গে ব্যবহৃত হচ্ছে অফিসের ব্যবস্থাপনায় পরিবহন। ফলে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও রাজধানীর সড়কগুলোতে বেড়েছে ব্যক্তিগত যানবাহনের চাপ।
আজ সোমবার (২৮ জুন) সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে তিনদিনের সীমিত বিধিনিষেধ (লকডাউন)। আগামী বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল ৬টা পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ থাকবে।
রবিবার (২৭ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে লকডাউন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, সারাদেশে পণ্যবাহী যানবাহন ও রিকশা ব্যতীত সব গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। আইনশৃঙ্গলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক নিয়মিত টহলের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। সব শপিংমল, মার্কেট, পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবার বিক্রয় (শুধুমাত্র অনলাইন/টেকওয়ে) করতে পারবে।
সরকারি-বেসরকারি অফিস প্রতিষ্ঠানসমূহে শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নিজ নিজ অফিসের ব্যবস্থাপনায় তাদের আনা-নেওয়া করতে হবে। জনসাধারণকে মাস্ক পরার জন্য আরও প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
উল্লেখিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সব সিনিয়র সচিব/সচিবেদের নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।