বাংলা খবর ডেস্ক:
সাকিব-মিরাজের দারুণ বোলিংয়ে ২৭৬ রানেই শেষ হয়েছে জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংস। তাতে ৪৬৮ রান করা বাংলাদেশ লিড পেয়ে গেলো ১৯২ রান। একসময় ৩ উইকেট হারিয়ে ২২৫ রান তুলে ফেলা জিম্বাবুয়েকে বেশিদূর যেতে দেননি সাকিব ও মিরাজ। এই দুজনের স্পিন ঘূর্ণিতে আর মাত্র ৫১ রানে যোগ হতেই বাকি ৭ উইকেট হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে।
মিরাজ তার ক্যারিয়ারে অষ্টমবারের মতো পেয়েছেন ফাইফারের দেখা। ৮২ রানে ৫টি উইকেট তুলে নেন এই অফস্পিনার। সাকিব সমান রান খরচায় নেন ৪টি। বাকি উইকেটটি তাসকিনের।
হারারে টেস্টে তৃতীয় দিনের তৃতীয় সেশনে মিরাজই ছিলেন বল হাতে উজ্জ্বল। ফলে জিম্বাবুয়ের বড় রান করার স্বপ্নটা পূরণ হয়নি। স্বাগতিকদের লোয়ার অর্ডার দাঁড়াতেই পারেনি মিরাজ ঘূর্ণিতে।
দ্বিতীয় দিনের ১ উইকেটে ১১৪ রান নিয়ে তৃতীয় দিনে ব্যাট করতে নামে স্বাগতিকরা। ওপেনার কাইতানোর সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়েন জিম্বাবুইয়ান ক্যাপ্টেন ব্রেন্ডন টেলর। দু’জনে মিলে গড়েন ১১৫ রানের জুটি। ৩য় দিনের প্রথম সাফল্য এনে দেন স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। ভয়ংকর হয়ে ওঠা ব্রেন্ডন টেইলরকে ফেরান তিনি।
দিনের শুরু থেকেই তাসকিন-এবাদত-সাকিবদের দিয়ে আক্রমণ চালান টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল। তবে সাফল্যের দেখা পাচ্ছিলেন না। অবশেষে ব্রেক থ্রু এনে দেন মিরাজ। ক্রমেই সেঞ্চুরির দিকে আগানো টেলরকে তিনি ফেরান বদলি ফিল্ডার ইয়াসির রাব্বির ক্যাচ বানিয়ে। ৮১ রান করে আউট হন টেইলর।
অন্যপ্রান্তে নিজের অভিষেক ম্যাচেই সেঞ্চুরি তুলে নেন ওপেনার কাইতানো। ৪ নম্বরে নামা মেয়ার্সের সঙ্গে গড়েন ৪৯ রানের জুটি। ২৭ রান করা মেয়ার্সকে সাজঘরে পাঠান সাকিব। এরপর মারুমাকেও এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে, রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান সাকিব।
এর আগে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ করে সব উইকেট হারিয়ে ৪৬৮ রান। মাহমুদউল্লাহ করেন ১৫০ রান। এ ছাড়া লিটন দাস ৯৫, তাসকিন আহমেদ ৭৫ ও মুমিনুল হক করেন ৭০ রান। প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ের পক্ষে ৪ উইকেট নেন ব্লেসিং মুজারাবানি। ২টি করে উইকেট নেন ডোনাল্ড তিরিপানো ও ভিক্টোর নায়ুচি। এছাড়া ১ উইকেট করে নেন রিচার্ড নাগারভা ও মিল্টন শুম্ভা।