বাংলা খবর ডেস্ক,ঢাকা:
নতুন স্বপ্ন নিয়ে অলিম্পিক যাত্রা করছে বাংলাদেশ। নতুন যাত্রায় বাংলাদেশকে আশা যোগাচ্ছেন আরচার রোমান সানা ও শুটার আবদুল্লাহ হেল বাকি। আরিফুল, জুনাইনা, জহির ও দিয়াদের নিয়ে তেমন কোনো প্রত্যাশা না থাকলেও এদের নিয়েই আজ টোকিওর উদ্যেশ্যে ঢাকা ছাড়বে বাংলাদেশ দল। শুটিংয়ে ছেলেদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে অংশ নেবেন আব্দুল্লাহ হেল বাকি। রিকার্ভ পুরুষ এককে খেলবেন আরচার রোমান সানা। এই দু’জনের সঙ্গে আগামীকাল ঢাকা ছাড়বেন আরচার দিয়া সিদ্দিকী। অ্যাথলেটিক্সের ৪০০ মিটারে অংশ নিতে জহির রায়হান রওনা দেবেন ২৫শে জুলাই। দুই সাঁতারুর মধ্যে আরিফুল ইসলাম ১৮ই জুলাই প্যারিস থেকে এবং ২৬শে জুলাই জুনাইনা আহমেদ লন্ডন থেকে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। ২৩শে জুলাই অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশের পতাকা থাকবে গত এসএ গেমসে ৫০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোক ও ১০০ মিটার মিডলে রিলেতে রুপা জেতা সাঁতারু আরিফুলের হাতে।
গতকাল হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন (বিওএ)-এর মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা। এসময় বিওএ’র সহ-সভাপতি শেখ বশির আহমেদ মামুন, কোষাধ্যক্ষ কাজী রাজিবউদ্দিন আহমেদ চপল, ও জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি উপস্থিত ছিলেন।
১৯৮৪ সালে সাইদুর রহমান ডনের হাত ধরে অলিম্পিকে যাত্রা শুরু বাংলাদেশের। এরপর প্রায় প্রতিটি আসরে প্রতিনিধি প্রেরণ করে আসছে বাংলাদেশ। কিন্তু প্রতিবারই বাংলাদেশ অংশ নিয়েছে ওয়াইল্ড কার্ডে। কেবল রিও অলিম্পিকে গলফার সিদ্দিকুর রহমান নিজ যোগ্যতায় অংশ নেন। এবার যেমন অংশ নিচ্ছেন রোমান সানা। ২০১৯ সালে নেদারল্যান্ডসে আরচারি বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে রিকার্ভ পুরুষ এককে ব্রোঞ্জ জিতে দেশকে অলিম্পিকের টিকিট এনে দেন রোমান। গত মাসে সুইজারল্যান্ডের লুসানে রিকার্ভ মিশ্র দ্বৈতে রোমানের সঙ্গে রুপা জেতা দিয়া পেয়েছেন ওয়াইল্ড কার্ড। আরচার রোমান সানা ও শুটার আবদুল্লাহ হেল বাকিকে নিয়েই আশার কথা শোনান বাংলাদেশের সেফ দ্যা মিশন বশির আহমেদ মামুন। এসময় তিনি বলেন, রোমান এক্সেপসনাল গিফটেড প্লেয়ার। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ ও বাংলাদেশ গেমস বড় উদাহরণ। নিজের দিনে ওরা অনেক কিছু করতে পারে। অন দ্যাট ডে গিভ ইওর বেস্ট। বাকীর বেলায়ও একই রকম। সে আন্তর্জাতিক শুটার। ওইদিন মাথা ঠান্ডা রেখে যদি শুটিং করতে পারে। তাহলে পদক আসলেও আসতে পারে। এবারের আসর নিয়ে মামুন বলেন, এর আগে আমরা অনেক অলিম্পিকে গিয়েছি। এবারেরটা পুরোপুরি ভিন্ন। কঠিন এই পরিস্থিতির মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন ডিসিপ্লিনে যারা ভালো করেছে, যেমন শুটিং আরচারি, অ্যাথলেটিক্স, তাদেরকে স্কলারশিপের মাধ্যমে কাউকে কাউকে ট্রেনিং দেয়া হয়েছে। রোমান সানা বলেন, প্রতিদিন কঠোর অনুশীলন হচ্ছে। ফাইনাল ম্যাচগুলো হয় যেভাবে, সেভাবে আলাদা অনুশীলনের একটা ব্যবস্থা হয়েছে। ওয়ার্ড কাপ স্টেজ ২ ৩ এ আমাদের ফলাফল ভালো ছিল। আশা করি দিনটি আমাদের পক্ষে থাকলে ভালো কিছু হবে। রামান সানার মতো ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে শুটার আবদুল্লাহ হেল বাকি বলেন, ‘প্রস্তুতি ভালো হচ্ছে। লন্ডনে ৬২৬ মেরেছিলাম। এবারো ভালো হবে আশা করি। কিন্তু বিষয়গুলো নির্ভর করে ওই দিনের পারফরম্যান্সের ওপর। ভার্চুয়ালি সভায় যোগ দিয়ে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, অ্যাথলেটরা যদি সর্বোচ্চটুকু দিতে পারে, উজাড় করে দিতে পারে, তাহলে দেশের জন্য সাফল্য আনতে পারবে বলে বিশ্বাস করি। এই মুহূর্তে সুস্থ থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি তারা সুস্থ থেকে সেরাটা উজাড় করে দিতে পারবে।’
৬জন ক্রীড়াবিদ টোকিও অলিম্পিকে অংশ নিলেও বাংলাদেশের কন্টিনজেন্ট ১৮ সদস্যের। এরমধ্যে বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী দ্বীন যাচ্ছেন অতিথি হিসেবে।
আপনার মতামত দিন