বাংলা খবর ডেস্ক:
ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের বৈশ্বিক নিরপেক্ষ স্বাস্থ্য গবেষণা কেন্দ্র ইনস্টিটিউট ফর হেলথ ম্যাট্রিক্স অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন (আইএইচএমই) বলেছে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ক্রমবর্ধমান বিস্তারের ফলে ডিসেম্বর নাগাদ বিশ্বে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াতে পারে ৫৩ লাখ। অন্যদিকে এ সময়ে বিশ্বে করোনা ভাইরাসে অতিরিক্ত মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াবে এক কোটি ২০ লাখ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন হিন্দুস্তান টাইমস। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠান মনে করছে সেপ্টেম্বরের শুরুতে মৃত্যু পিক বা সর্বোচ্চে পৌঁছাবে। তারপর আস্তে আস্তে কমে আসবে। শুক্রবার প্রকাশিত এক রিপোর্টে এ তথ্য প্রকাশ করেছে তারা। আইএইচএমই’র এই রিপোর্ট অসুস্থতাজনিত কারণে যারা মারা গেছেন এবং তাদের বিষয়ে রিপোর্ট করা হয়নি- এসব মিলে মোট যে পরিমাণ মৃত্যুর সংখ্যা তাকে ‘এক্সেক ফ্যাটালিটিজ’ বা অতিরিক্ত মৃত্যু হিসেবে বর্ণনা করেছে। এই সংখ্যার সঙ্গে সরকারিভাবে প্রকাশিত মৃত্যুর সংখ্যার বিষয়ে পূর্বাভাস দিয়েছে তারা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বে কমপক্ষে ৪৩ লাখ মানুষ মারা গিয়েছেন। এই সংক্রমণের জন্য এখন বেশি দায়ী ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। মূল করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের যে সংখ্যা তার চেয়ে এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা ১২০০ গুন বেশি। এ থেকে ইঙ্গিত দেয় যে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট জলবসন্তের মতো দ্রুত এবং সহজে ছড়িয়ে পড়তে পারে। বৃটেনের গবেষণা থেকেও দেখা গেছে করোনার টিকার বিরুদ্ধে অধিক প্রতিরোধ গড়ে তোলে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। ২০২০ সালের শেষের দিকে ইংল্যান্ডে আবির্ভাব হয় আলফা ভ্যারিয়েন্ট। তার চেয়েও অক্টোবরে ভারতে শনাক্ত ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের তীব্রতা অনেক বেশি।