ফের বিশ্বের শীর্ষ ধনী এলন মাস্ক

0
64

বাংলা খবর ডেস্ক:
ই-কমার্স জায়ান্ট আমাজনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেফ বেজোসকে হটিয়ে আবারও বিশ্বের শীর্ষ ধনী হলেন টেসলা ও স্পেস-এক্সের মালিক এলন মাস্ক।

তার মোট সম্পদের পরিমাণ ২০০ দশমিক ৯ বিলিয়ন বা ২০ হাজার ৯শ কোটি ডলার বলে জানিয়েছে ফোর্বস ম্যাগাজিন। এর আগে গত জানুয়ারিতে স্বল্প সময়ের জন্য শীর্ষ ধনীর মুকুট এলন মাস্কের দখলে যায়।

এলন বিশ্বের তৃতীয় ধনী ব্যক্তি হিসাবে ২০০ বিলিয়ন ডলারের সম্পদের মালিক হলেন। অন্য দুজন হলেন জেফ বজোস ও ফ্রান্সের ব্যবসায়ী বার্নার্ড আর্নল্ট।

গত সোমবার পুঁজিবাজারে টেসলার শেয়ারের দাম বেড়ে যাওয়ায় মাস্ক ধনীর তালিকায় শীর্ষে উঠে আসেন। দ্বিতীয় অবস্থানে নেমে যান বেজোস, যিনি ২০১৭ সাল থেকে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি এবং বর্তমানে তার সম্পদের মূল্য প্রায় ১৯ হাজার ২৫০ কোটি ডলার।

এলন মাস্ক শীর্ষ ধনীর মুকুট অর্জনে এক সময় সপ্তাহে সাত দিন হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেছেন। তাকে ঘুমাতে হতো ফ্লোরে, বিছানা ব্যবহার করতে পারতেন না। মাস্কের জীবনের প্রথম প্রজেক্ট ‘জিপ২’ নামক এক সফটওয়্যার সংস্থা। এর কাজ ছিল এক অনলাইন প্ল্যাটফরম তৈরি করা যা থেকে লাভ হতো খবরের কাগজ প্রকাশ সংস্থার। জিপ২ প্রতিষ্ঠিত ১৯৯৫ সালে এবং ১৯৯৯ সালে তা কিনে নেয় কমপ্যাক কম্পিউটার্স সংস্থা। এই চার বছর ছিল বিশ্বের শীর্ষ এ ধনীর ব্যক্তির পরিশ্রমের সময়।

ওয়েবসাইট চালু রাখতে প্রতি রাতে কম্পিউটারের সামনে বসে থাকতেন তিনি, একের পর এক ‘কোড’ শেয়ার করতেন। কোনো ছুটি ছিল না, সপ্তাহে সাত দিনই কাজ করতেন। ভাড়া নেওয়া এক ছোট অফিসের ফ্লোরে ঘুমিয়ে নিতেন। কারণ আলাদা করে ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়ার সামর্থ্য ছিল না এলন মাস্কের। এই তার সংগ্রাম শুরু, এরপর এক্স ডটকম হয়ে আরও একাধিক সংস্থা শুরু করেন তিনি। এখন সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে এলন মাস্ক।

মাস্কের সম্পদের পরিমাণ ফুলেফেঁপে পাহাড় সমান হয়েছে ২০২০ সালে। ওই বছরের শুরুতে তার সম্পদের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। টেনেটুনে শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকায় ছিলেন তিনি। তবে মাত্র ১২ মাসে সেই সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ১৬ হাজার কোটি ডলার। টেসলার ইলেকট্রিক কারের চাহিদাই এই সম্পদ বৃদ্ধির বড় কারণ। সেই সঙ্গে পুঁজিবাজারেও তরতর করে বেড়েছে শেয়ারের দর।

টেসলার শেয়ারের দাম বেড়েছে ৯ গুণ। গত বছরের জুলাইয়ে বিনিয়োগগুরু ওয়ারেন বাফেটকে সরিয়ে বিশ্বের সপ্তম শীর্ষ ধনী হন মাস্ক। এরপর তিনি বিল গেটসকে ছাড়িয়ে ধনীর তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসেন। বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী ব্যক্তি। গত বছর তিনি যে সম্পদ অর্জন করেছেন, তা মাইক্রোসফটের মালিকের ১৩ হাজার ২০০ কোটি ডলারের সম্পদের চেয়েও বেশি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here