বাংলা খবর ডেস্ক:
বার্সেলোনার পোড়া কপালে প্রলেপ লাগাতে কাতার থেকে উড়িয়ে আনা হয়েছে জাভি হার্নান্দেজকে। জয়ে শুরু হয় স্প্যানিশ কিংবদন্তির ন্যু-ক্যাম্প অধ্যায়টা। তবে রাতারাতি পাল্টে যায়নি ব্লাউগ্রানাদের দুর্দশা। সর্বশেষ ৭ ম্যাচে মাত্র দুটিতে জয় পেয়েছে কাতালানরা। বাদ পড়েছে চ্যাম্পিয়নস লীগের গ্রুপ পর্ব থেকেই। ধুঁকতে থাকা বার্সেলোনার কষ্ট বাড়িয়ে দিলো আর্জেন্টাইন ক্লাব বোকা জুনিয়র্স। টাইব্রেকারে স্প্যানিশ জায়ান্টদের হারিয়ে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ‘ম্যারাডোনা কাপ’ জিতেছে দলটি।
মঙ্গলবার রাতে সৌদি আরবের রিয়াদে ক্লাব ফ্রেন্ডলি ম্যাচটিতে ১-১ গোলে নির্ধারিত সময় শেষ হয়। পরে পেনাল্টি শুট আউটে ৪-২ গোলে ম্যাচ জিতে নেয় বোকা।
বল দখলে পিছিয়ে থাকলেও আক্রমণে বার্সার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বোকা জুনিয়র্স।
৬৫ শতাংশ বল দখলে রেখে প্রতিপক্ষের গোলবারের উদ্দেশ্যে মোট ১৪টি শট নেয় বার্সেলোনা। যার মধ্যে ৫টি লক্ষ্যে ছিল। অপরদিকে ৩৫ শতাংশ বল দখলে রেখে ১৩টি শটের ৩টি লক্ষ্যে রাখে বোকা।
প্রথমার্ধে বল দখলে বোকা জুনিয়র্সের ডি-বক্সের আশপাশে ভীতি ছড়ালেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি বার্সেলোনা। সহজাত আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে ডি-বক্সের বাইরে থেকে গোলের জন্য চেষ্টা করেন রিকি পুস, দানি আলভেসরা। তবে সাফল্য মেলেনি।
রক্ষণাত্মক খেলা বোকা জুনিয়র্স সুযোগ খুঁজে যায় কাউন্টার অ্যাটাকে। প্রথমার্ধের শেষ দিকে তাদের দারুণ একটি আক্রমণ ঠেকিয়ে দেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক নেতো।
৫০তম মিনিটে বার্সেলোনাকে এগিয়ে নেন ফেররান হুতগ্লা। দানি আলভেসের ক্রস ফেলিপ কুটিনহোর গায়ে লাগলে বল পেয়ে যান তিনি। দক্ষ শটে জাল খুঁজে নেন।
৭৭তম মিনিটে সমতা ফেরায় বোকা। ফাব্রার নিচু ক্রসে খুব কাছ থেকে বল জালে পাঠান এসেকিয়েল সেবাইয়োস।
সমতায় ম্যাচ শেষ হওয়ার পর ছিল না কোনো অতিরিক্ত সময়। সরাসরি গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে একটি শট ঠেকিয়ে বোকার জয়ে বড় অবদান রাখেন গোলরক্ষক অগাস্তিন রসি।
বোকার হয়ে টানা চার শটে গোল করেন মার্কোস রোহো, সেবাইয়োস, ক্রিস্তিয়ান পাভোন ও আরন মোলিনাস।
বার্সেলোনার হয়ে প্রথম দুই শটে গোল করেন আলভেস ও ফেররান। মাথেউসের শট ঠেকিয়ে দেন রসি। গিলেম হাইমে শট রাখতে পারেননি লক্ষ্যে।