বাংলা খবর ডেস্ক:
আইসিসি’র বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটার নির্বাচিত হলেন পাকিস্তানের বাবর আজম। আর টেস্টের সেরা ক্রিকেটার হয়েছেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জো রুট।
ওয়ানডের বর্ষসেরা হওয়ার দৌড়ে বাবর আজমের সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান, দক্ষিণ আফ্রিকার ইয়ানেমান মালান ও আয়ারল্যান্ডের পল স্টার্লিং। পারফরম্যান্স বিবেচনায় বাবরকেই বেছে নিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাটি।
গত বছর খুব বেশি ওয়ানডে খেলেননি বাবর। পাকিস্তানি অধিনায়ক ৬ ম্যাচে ৬৭.৫০ গড়ে করেন ৪০৫ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন বাবর। প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি ও সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচে করেন ৯৪ রান।
ইংল্যান্ডের মাটিতে ৩-০তে সিরিজ হারলেও ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে উজ্জ্বল ছিলেন বাবর। তিন ম্যাচে করেন ১৭৭ রান। দলের বাকি ব্যাটারদের কেউই একশ’ও ছুঁতে পারেননি।
স্মরণীয় ইনিংস
বার্মিংহামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ক্যারিয়ারসেরা ১৫৮ রানের ইনিংস খেলেন বাবর।
তবে ওই ম্যাচে ৩৩১ রান করেও জিততে পারেনি পাকিস্তান। ষষ্ঠ উইকেটে লুইস গ্রেগরি-জেমস ভিন্সের ১২৯ রানের জুটিতে ২ ওভার হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা।
সেরা হওয়ার দৌড়ে রুটের সঙ্গে ছিলেন শ্রীলঙ্কার দিমুথ করুনারত্নে, ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিন, পাকিস্তানের শাহীন শাহ আফ্রিদি ও নিউজিল্যান্ডের কাইল জেমিসন।
সাদা পোশাকে ২০২১ সালটা বিবর্ণ ছিল ইংল্যান্ডের। তবে অধিনায়ক জো রুট ছিলেন আপন মহিমায় উজ্জ্বল। ১৫ ম্যাচে ৬ সেঞ্চুরিতে ১৭০৮ রান সংগ্রহ করেন রুট। টেস্টের ইতিহাসে এক বর্ষপঞ্জিতে রুটের চেয়ে বেশি রান আছে কেবল দু’জনের- পাকিস্তানের মোহাম্মদ ইউসুফ ও উইন্ডিজের ভিভ রিচার্ডস।
শুধু ব্যাট নয়, বল হাতেও ১৪ উইকেট নিয়েছেন রুট। রয়েছে একটি ফাইফারও।
স্মরণীয় ইনিংস
ভারতের মাটিতে চার ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে চেন্নাইয়ে ২১৮ রানের অনবদ্য ইনিংস উপহার দেন রুট। ম্যাচে ২৭৭ রানের বড় জয় কুড়ায় ইংল্যান্ড। এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে রুট খেলেন ২২৮ ও ১৮৬ রানের ইনিংস। ভারতের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে হাঁকান তিন শতক (১০৯, ১৮০* ও ১২১) রান।