বাংলা খবর ডেস্ক:
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২৯ হাজার ২২৩ জনে। এ সময়ে ১৩২৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ফলে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৯৩ হাজার ৩৮২ জনে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশ বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৭৪৭ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ১৯ হাজার ১৬৬ জন। এ সময়ে ১১ হাজার ১২৬টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১১ হাজার ১৩১টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
এর আগে গতকাল বুধবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়। এ সময় নতুন করে শনাক্ত হয় ১০২৭ জনের।
১৯ জুলাই দেশব্যাপী পালিত হবে বুস্টার ডোজ দিবস:
ওদিকে করোনা সংক্রমণ রোধে আগামী ১৯ জুলাই দেশব্যাপী বুস্টার ডোজ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই দিন ১৮ বছরের বেশি যে কেউ দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার চার মাস পূর্ণ হলে বুস্টার ডোজ গ্রহণ করতে পারবেন। বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজার টিকা ব্যবহার হবে বলে জানা গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
এতে জানানো হয়, দিবসটি উপলক্ষে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার ২৪টি কেন্দ্র ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৪টি কেন্দ্রে বুস্টার টিকা প্রদানের জন্য টিম ঘোষণা করা হয়েছে।
বুস্টার ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য উপযুক্ত প্রমাণ প্রদর্শন সাপেক্ষে (কভিড-১৯ টিকার কার্ড বা সনদ) নিকটবর্তী টিকাদান কেন্দ্র বা দেশের যেকোনো কডিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন টিকাদান কেন্দ্র থেকে টিকগ্রহীতা বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। সব টিকাদান কেন্দ্রে ফাইজার ভ্যাকসিন প্রদানের শর্তাবলী অনুসরণ করতে হবে। সকাল ৯টা থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টিবি হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, ঢাকা ডেন্টাল কলেজসহ ১৬টি কেন্দ্রে ৮টি করে টিম ও ১১টি কেন্দ্রে ৪টি টিম কাজ করবে। এ ছাড়া দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ ১০টি কেন্দ্রে ৮টি করে টিম ও ৪টি কেন্দ্রে ৪টি করে টিম কাজ করবে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।
একটি টিমে ২ জন টিকাদানকারী ও ৩ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবে। প্রতিটি টিম ৫০০ জনকে টিকা প্রদান করবে। বুস্টার ডোজ দিবসের ফ্যাসিলিটিতে কেন্দ্রে নারীদের পর্দাঘেরা স্থানে পৃথকভাবে এবং বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার দিয়ে ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এ ছাড়া এদিন নিয়মিত কভিড-১৯ ভ্যাকসিন ১ম ও ২য় ডোজের স্বাভাবিক কার্যক্রম চলমান থাকবে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে কভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন বুস্টার ডোজ কার্যক্রম ১ দিন পরিচালনা করতে হবে।