বিক্রমাসিংহেই নেতৃত্বে, সংকট জিইয়ে রইলো

0
169

বাংলা খবর ডেস্ক:
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পেয়েছেন রণিল বিক্রমাসিংহে। তাকে নিয়ে আন্দোলনকারীরা সন্তুষ্ট নন। তারা মনে করছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়া রাজাপাকসের ছায়া হয়েই তিনি ক্ষমতায় এসেছেন। কারণ রাজাপাকসেদের সঙ্গে রয়েছে তার দহরম মহরম সম্পর্ক। এ জন্য আন্দোলনকারী জনতা তার ওপর আস্থা রাখতে পারছে না। দেশের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন গোটাবাইয়া। এ ছাড়া দেশের প্রধানমন্ত্রীও ছিলেন তিনি। সাবেক প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়া রাজাপাকসের পদত্যাগের পর নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গতকাল বুধবার শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে ভোট হয়। এতে এমপিরা রণিলকেই রাজাপাকসের উত্তরসূরি হিসেবে বেছে নিয়েছেন। দেশটির সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিরর জানিয়েছে, নির্বাচনে বিক্রমাসিংহে পেয়েছেন ১৩৪ ভোট।

অপরদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দুল্লাস আলহাপ্পেরুমা পেয়েছেন ৮২ ভোট। অপর প্রার্থী অনুরা কুমারা দিসানায়েকে পেয়েছেন ৩ ভোট। এই নির্বাচনে স্পিকারসহ ২২৩ এমপি ভোট দিয়েছেন। ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিলেন দু’জন এমপি। নির্বাচিত হয়ে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বীকে ধন্যবাদ জানান বিক্রমাসিংহে। তিনি এমপিদের এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
নতুন প্রেসিডেন্ট বলেন, দেশের মানুষ আমাদের থেকে আগের মতো রাজনীতি চায় না। তিনি সাজিথ প্রেমাদাসা, মাহিন্দ রাজাপাকসে এবং মাইথ্রিপালা সিরিসেনার প্রতি একসঙ্গে কাজ করার অনুরোধ জানান। আরও বলেন, আমরা বিভক্ত হয়ে আছি। এখন আমাদেরকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। এদিকে বড় আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে শ্রীলঙ্কার আন্দোলনকারীরা। প্রেসিডেন্ট রণিল বিক্রমাসিংহে’কে মানতে নারাজ কয়েক মাস ধরে রাস্তায় থাকা আন্দোলনকারীরা। সাবেক প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়া রাজাপাকসে পদত্যাগের পর থেকেই বিষয়টি বলে আসছিলেন তারা। কিন্তু তারপরেও গণতান্ত্রিক উপায়ে পার্লামেন্টের ভোটে প্রেসিডেন্ট পদে জয় পেয়েছেন রণিল বিক্রমাসিংহে। আল-জাজিরার সাংবাদিক মিনেলে ফার্নান্দেজ শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো থেকে জানিয়েছেন, পার্লামেন্টের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে নারাজ বিক্ষোভকারীরা। তারা আবারো বড় আন্দোলনে যাচ্ছে। রণিল বিক্রমাসিংহেকে রাজাপাকসে পরিবারের মিত্র বলেই ধরে নেয়া হয়। তাই তাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে আন্দোলনকারীরা মানতে পারছে না। তারা মনে করে, বিক্রমাসিংহেকে জেতাতে রাজাপাকসে পরিবারই হস্তক্ষেপ করেছে।

আর এ কারণেই দেশজুড়ে এত ক্ষোভ। যে প্রক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছে তা নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে আন্দোলনকারীদের। তবে ভারতের এনডিটিভি বলেছে, আন্দোলনকারীরা আগে থেকেই রণিল বিক্রমাসিংহের পদত্যাগ দাবি করে আসছিলেন। এবার তিনি বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর দমনপীড়ন চালাতে পারেন। এর প্রমাণও রেখেছেন যখন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন। তখনই তিনি দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন। পুলিশ ও নিরাপত্তা রক্ষাকারীদেরকে ব্যাপক ক্ষমতা দেন। বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে ঝড়ো গতিতে ঢুকে পড়ার পর তিনি এমন নির্দেশ দেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here