বিশ্বব্যাংক, জাইকার কাছেও ঋণ চাওয়া হবে : অর্থমন্ত্রী

0
125

বাংলা খবর ডেস্ক,ঢাকা:
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বব্যাংকে যাব, জাইকায় যাব। সব জায়গায় সব সময় চেষ্টা করি। ভালো সুদ ও ভালো শর্তে ঋণ পেলে নেব। ’

গতকাল বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দাতারা কী শর্তে ঋণ দিতে চাচ্ছে, আমরা সেটা দেখব। তারা যদি ইতিবাচকভাবে এগিয়ে আসে এবং কম সুদহারে পাই, তাহলে আমরা ঋণ নেব। ’ এ সময় তিনি জানান, শুধু আইএমএফ নয়, প্রয়োজনে সব উন্নয়ন সহযোগীর কাছে ঋণ চাওয়া হবে।

গত সপ্তাহে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ আপাতত প্রয়োজন নেই।

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আইএমএফের প্রতিনিধিদল প্রতিবছরই আসে। তারা বার্ষিক পরামর্শ-আলোচনা করে। সে সময় যদি বলি আমাদের টাকা দরকার, তখন তারা টাকা দিলেও সুদহার বাড়ানোর সম্ভাবনা থাকে। গ্রহীতা হিসেবে আমরাও খুব ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করি। আমরা ভাব দেখাই আমাদের টাকার দরকার নাই। দেশের স্বার্থে এমন করা হয়েছে। ’

আইএমএফকে দেওয়া চিঠিতে ঋণের পরিমাণ ৪৫০ কোটি ডলার উল্লেখ করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কোনো পরিমাণ উল্লেখ করিনি। বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য রক্ষায় এখন আমাদের ঋণ দরকার। সে জন্য আইএমএফের কাছে ঋণের আবেদন করা হয়েছে। আর শুধু আইএমএফ নয়; বিশ্বব্যাংক, জাইকা, এডিবিসহ সব দাতাসংস্থা ও উন্নয়ন সহযোগীর কাছে ঋণ সহায়তা চাওয়া হবে। ভালো সুদে ও ভালো শর্তে ঋণ যেখান থেকে পাব, সেখান থেকেই নেব। ’

তবে আইএমএফের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, বাংলাদেশ ‘ক্রেডিটরস রেজিলিয়্যান্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ট্রাস্ট’ থেকে ঋণ পেতে আলোচনার অনুরোধ জানিয়েছে। বাংলাদেশ ৪১৬ কোটি ডলার সহায়তা চেয়েছে।

‘বাংলাদেশের ওপর উন্নয়ন সহযোগীদের পূর্ণ আস্থা আছে’ উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ঋণ দেওয়ার জন্য তারা আমাদের পিছে পিছে আছে। কারণ তারা জানে যে বাংলাদেশ একটি ভালো দেশ, ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা আছে। বাংলাদেশ সময়মতো ঋণ পরিশোধ করতে পারবে। আর কিছুদিন, এরপর ঋণ নিতে হবে না। আমরা তো বলেছিলাম ঋণ দেব। আমি আবারও বলি, আমরা ঋণ দিতে পারব। ’

‘ডলারসংকট মোকাবেলায় অনেক উদ্যোগ নেওয়ার পরও কোনো কাজে আসছে না কেন’—জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘কাজ হবে, একটু সময় লাগবে। ’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু আমদানিকারক মূল্যবৃদ্ধির কারসাজি করে আমদানি করছে। এসব অনিয়ম খতিয়ে দেখছি, তবে ডলারের মূল্য নির্ধারিত হবে চাহিদা ও জোগানের ভিত্তিতেই। ’ ব্যাংক খাতে সুদহার ৬-৯ উঠিয়ে দেওয়ার কথা বলেছে আইএমএফ—এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি এখন ভালো অবস্থানে আছে। সুদের হার যদি ৬-৯ নির্ধারণ না করা হতো, তাহলে কভিডের সময় ছোট, বড়, মাঝারি—কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানই টিকে থাকতে পারত না। ’ অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি, ব্যাংক খাতে আমানত ও সুদের হার ৬-৯ করার উদ্যোগটি ভালো। সুদহার ৬-৯ করার কারণে ব্যাংকিং খাতে স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে। বেসরকারি খাতও চাঙ্গা হয়েছে। ’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here