ইরানকে গোল বন্যায় ভাসিয়ে দিল ইংল্যান্ড

0
49

বাংলা খবর ডেস্ক:
কাতারে তীব্র তাপদাহ। ফুটবলারদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। এমন কথা গত কয়েক বছর ধরে ব্রিটিশ মিডিয়া বলে আসছে। ইংল্যান্ডের ফুটবলারদের দোহায় অবশ্য বিশেষ উপায়ে শীতাতপ মাঠে খেলেছেন। লু হাওয়ার মতো বাতাস তারা অনুভব করেনি। কারণ এখন নভেম্বর চলে। ফুটবল বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইরানকে নিয়ে খেললো ১৯৬৬ বিশ্বকাপের চ্যাস্পিয়নরা। ৬-২ গোলের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা।

ইংলিশদের হয়ে জোড়া গোল করেন বুকায়ো সাকা। এছাড়া একটি করে গোল করেন জুডি বেলিংহাম, রাহিম স্টারলিং, মার্কাস রাশফোর্ড ও জ্যাক গ্রিলিস। ইরানের হয়ে জোড়া গোল করেন মেহদি তারেমি।

চমৎকার শুরু করলো ২০২০ সালের ইউরোর ফাইনালে খেলা ইংল্যান্ড। এ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড অন্যতম ফেভরিটও। এমন শুরুতে আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেল তাদের।

আজ সোমবার খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ‘বি’ গ্রুপে দিনের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামে দুদল। তবে পুরো ম্যাচে পরিস্কার আধিপত্য চালিয়ে খেলে ইংল্যান্ড।

তবে ম্যাচের অষ্টম মিনিটেই বড় ধাক্কা খায় ইরান। ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়েন দলটির শুরুর একাদশে থাকা গোলরক্ষক আলিরেজা বেইরনভান্দের। ইংল্যান্ডের দলীয় আক্রমণ প্রতিহত করতে এগিয়ে গেলে সতীর্থ ফুটবলারের সঙ্গে আঘাত লেগে রক্তাক্ত হন।

সংঘর্ষে নাক ফেটে যায়। অনেকটা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কিন্তু বেশিক্ষণ পারেননি। একটু পরই শুয়ে পড়েন মাঠে। স্ট্রেচারে করে তাকে নেওয়া হয় মাঠের বাইরে। তার জায়গায় হোসাইন হোসেইনি মাঠে নামেন।

তবে এই বদলিই যেন কাল হয়ে দাঁড়ায়। প্রথমার্ধ শেষের ১০ মিনিটে ৩ গোল হজম করে ইরান। ৩৫তম মিনিটে লুক শ’র ক্রস থেকে দারুণ এক হেডে গোল করেন জুডে বেলিংহাম। ১৯ বছর বয়সী এই ফুটবলার এই গোল করে এখন বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সর্ব কনিষ্ঠ গোলদাতা হলেন। এটি জাতীয় দলের হয়ে তার প্রথম গোলও।

এরপর ৪৩তম মিনিটে বুকায়ো সাকা ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইংল্যান্ডের। কর্নার থেকে ডি-বক্সে ম্যাগুইয়ারের হেড পাসে দারুণ ভলিতে লক্ষ্যভেদ করেন আর্সেনালের তরুণ ফরোয়ার্ড। যেখানে প্রথমার্ধের অতিরিক্ত প্রথম মিনিটে অসাধারণ এক গোল করেন রাহিম স্টারলিং। হ্যারি কেইনের নিচু ক্রসে গোলটি করেন চেলসি ফরোয়ার্ড।

বিরতির পরও আক্রমণের ধারা অব্যাহত রাখে ইংল্যান্ড। যেখানে ৬২তম মিনিটে জোড়া গোল পূর্ণ করেন সাকা। তবে ৩ মিনিট পরেই দারুণ এক দলীয় আক্রমণে ব্যবধান কমান ইরানের তারেমি। কিন্তু ৭১তম রাশফোর্ড বদলি নেমে ৪৯ সেকেন্ডে গোল করেন। বদলি খেলোয়াড় হিসেবে ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটি তৃতীয় দ্রুততম। আর নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে ইরানের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন গ্রিলিশ। তবে যো করা সময়ে ১৩তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে আরও একবার ব্যবধান কমান তারেমি। ইরানের ফুটবলাররা গোলবারের সামনে ফাউলের শিকার হলে রেফারি ভিএআর দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান।

তবে ইংল্যান্ডের বড় জয় ঠেকাতে পারেনি ইরান। শেষ অবধি ৬-২ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ইংল্যান্ড।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here