ফ্লোরিডায় স্কুল হত্যাকাণ্ডের দিনের নায়করা

0
114

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডে বুধবার যেসব স্কুলে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে একজন বন্দুকধারী ১৭ জনকে হত্যা করে তার একটির ফুটবল কোচ অ্যারন ফেজ।

প্রাণে বেঁচে যাওয়া শিক্ষার্থীরা জানায়, তাদের কোচ সেদিন ‘হিরো’ বা নায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। গুলির মুখে শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে নিজের শরীর দিয়ে তাদের আড়াল করেছিলেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে কোচ ফেজের ছবি দিয়ে স্কুলের এক শিক্ষার্থী লিখেছে, ‘ভদ্র মহোদয় এবং ভদ্র নারীরা, দেখুন একজন নায়কের মুখ।’

মেজরিটি স্টোনম্যান হাই স্কুলের এই ফুটবল কোচ একজন শিক্ষার্থীকে তার শরীর দিয়ে আড়াল করে বাঁচাতে গিয়ে গুলিতে মারাত্মক জখম হয়েছেন। তিনি এখন হাসপাতালে। স্টোনম্যান স্কুল থেকে পাশ করে ফেজ নব্বইয়ের দশক থেকে কোচ হিসেবে সেখানেই কাজ করছেন। শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা এখন তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

স্থানীয় এক পত্রিকায় তার সহকর্মী অ্যান্ড্রু হফম্যান বলেন, ‘অ্যারন একজন চুপচাপ ধরনের মানুষ, কিন্তু স্কুলের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো আপোষ সে করে না।’

এটা কি সত্য?

মাত্র ছয় সপ্তাহ আগে স্কুলে মহড়া হয়েছিল – কোনো বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটলে কী করতে হবে। বুধবার যখন প্রথম গুলি হয়, শিক্ষক মেলিসা ফাকোস্কি ভেবেছিলেন মহড়া বোধ হয় এখনো শেষ হয়নি। ‘আমাদের কেউ কেউ ভেবেছিলেন মহড়ার চূড়ান্ত পর্ব হয়তো চলছে।’

কিন্তু কিছুক্ষণ পর যখন তিনি বুঝতে পারলেন এটা সত্যিকারের হামলা, তার প্রথম চিন্তা হয় যে শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে হবে। দ্রুত শ্রেণিকক্ষের একটি আলমারির ভেতর ১৯ ছাত্রকে ঢুকিয়ে দেন তিনি। তারপর পুলিশ আসা পর্যন্ত ৪০ মিনিট অপেক্ষা করতে থাকেন।

‘মহড়া থেকে যা শিখেছিলাম তা কাজে লাগিয়েছিলাম সেদিন। না হলে কী করতাম জানিনা।’

প্রমাণ দাও যে তুমি পুলিশ

জিম গার্ড নামের আরেক শিক্ষক কয়েকজন শিক্ষার্থীকে শ্রেণিকক্ষে লুকিয়ে রেখেছিলেন। গুলির আওয়াজ পাওয়ার সাথে সাথে অংকের এই শিক্ষক কক্ষের দরজা বন্ধ করে দেন। ‘আমি শুনতে পাচ্ছিলাম পুলিশ করিডোর দিয়ে এগিয়ে আসছে।, গ্রাড সিএনএনকে বলেন, ‘পুলিশ দরজায় ধাক্কা দিচ্ছিল।’ কিন্তু প্রশিক্ষণে মি. গ্রাড শিখেছিলেন হঠাৎ কাউকে বিশ্বাস না করতে।

‘স্পেশাল ফোর্স যখন শ্রেণিকক্ষের কাছে এলো, আমি আমার শিক্ষার্থীদের আলমারির মধ্যে ঢুতে যেতে বললাম। তারপর একটি কাগজ দিয়ে জানালা ঢেকে পুলিশকে পরিচয় দিতে বললাম।’ ‘তারা যখন বলল তারা পুলিশ, আমি প্রমাণ চাইলাম। তারা যখন বাইরে থেকে তাদের পরিচয়পত্র দেখালো, শুধু তখনই আমি দরজা খুলি।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here