আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: আগামী দুই দশকের মধ্যে পরমাণু শক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাবে চীন। এর মধ্যে দেশটি পরমাণু শক্তির দিক দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় উৎপাদক দেশে পরিণত হবে। এ সময়ে চীন বর্তমানের চেয়ে তিন গুণ পরমাণু সক্ষমতা বাড়াবে।
পরমাণু বোমা নয় বরং পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের দিক দিয়েই চীন এ অগ্রগতি অর্জন করবে বলে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বা আইএইএর এক রিপোর্টে বলা হয়েছে।
এ সম্পর্কে সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ফাতিহ বিরল বলেন, বিকল্প জ্বালানি উৎপাদনের ক্ষেত্রে চীন সম্প্রতি যেসব উদ্যোগ নিয়েছে তাতে আগামী ২০ বছরের মধ্যে দেশটি আমেরিকার পরমাণু শক্তিকে ছাড়িয়ে যাবে। খবর পার্সটুডের।
ফাতিহ বলেন, “চীন খুব শক্তিশালীভাবে এগিয়ে আসছে। বর্তমানে ৬০টি পরমাণু কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে যার এক-তৃতীয়াংশ চীনে তৈরি হচ্ছে। ফলে খুব শিগগিরই আমরা চীনকে বিশ্বের এক নম্বর পরমাণু শক্তি হিসেবে দেখব।”
ফাতিহ বিরল বলেন, ১৯৬০-এর দশক থেকে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের প্রধান পরমাণু শক্তির স্থান দখল করেছিল কিন্তু দুটি ঘটনা তাকে সে স্থান থেকে সরিয়ে দেবে। এর একটি হচ্ছে সম্প্রতি আমেরিকা তেমন বেশি পরমাণু স্থাপনা নির্মাণ করে নি আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে আমেরিকার হাতে বর্তমানে যেসব পরমাণু স্থাপনা রয়েছে তা সারাজীবনের জন্য নয়। এ ধারা অব্যাহত থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের পরামাণু শক্তি শতকরা ২০ ভাগ থেকে সাত ভাগে কমে আসবে।