আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: ২০১২ সালে নির্ভয়া ধর্ষণ ও হত্যার পর তা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। ছয় বছর পরে এসেও ভারতে ধর্ষণের ঘটনা বন্ধ হয়নি। গালফ নিউজের পক্ষ থেকে ভারতীয় তরুণদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে এ ব্যাপারে তাদের মন্তব্য জানার জন্য।
রাজস্থানের পাভিনি নামের একজন শিক্ষার্থী বলেন, বেকারত্ব একটা কারণ। এছাড়া নারীর প্রতি শ্রদ্ধা করানো শেখানোর অভাবে এরকম ঘটনা ঘটছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও যৌনতার ব্যাপারে সঠিক ধারণা না থাকায় ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
কেরালা থেকে ছাত্রী অ্যানি রিবু জোসি বলেন, বর্তমানের তরুণরা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বেশি সময় পার করে। কিন্তু সেখানে শিক্ষণীয় বিষয় খুব কমই দেখা যায়। বরং নারীদের হেয় প্রতিপন্ন করে অনেক আধেয় তাদের সামনে চলে আসে।
তিনি আরো বলেন, অনলাইনে দেখা জগতের সঙ্গে তারা বাস্তবের নারীদের গুলিয়ে ফেলে। সে কারণেও ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটে।
শিলেন্দ্র কুমার মিশ্র এ ব্যাপারে বলেন, এখনকার তরুণরা হতাশার মধ্যেই ডুবে থাকে বেশিরভাগ সময়। তরুণদের ধারণা পরবর্তনে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মনে করেন তিনি। ধারণা পরিবর্তন করানো সম্ভব না হলে ধর্ষণ বন্ধ হবে না।
আইনের শিক্ষার্থী সাহিল বানশাল বলেন, ধর্ষণের শিকার তরুণীরা স্রেফ নিরাপত্তার অভাবে বলি হয়েছে। সরকার তাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। ধর্ষকদের বিচার করা গেলেও অনেকটাই কমে যেতো ধর্ষণের ঘটনা।
মুম্বাইয়ের তনু গুপ্ত বলেন, যুব সমাজের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। অন্যথায় ধর্ষণ বন্ধ সম্ভব না।
তবে শুভঙ্কর আপ্তের মতে, বিভিন্ন এনজিও এবং সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান ব্যাপকহারে ক্যাম্পেইন করে ধর্ষণ বন্ধের ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারে।