ঢাকা: সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য প্রয়াত ভাস্কর-মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা, অধিকারকর্মী, ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়েছে। এখন তার মরদেহে সর্বস্তরের মানুষ ফুলেল শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের শ্রদ্ধা নিবেদন মঞ্চে চলছে আনুষ্ঠানিকতা।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে প্রথমে গার্ড অব অনার দেওয়া হয় ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীকে। পরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলের পক্ষ থেকে কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এর পর সেখানে সর্বস্তরের মানুষ তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। শহীদ মিনার চত্বরে শেষবারের মতো এই বীরাঙ্গণাকে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হয়েছে হাজারো মানুষ।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ফেরদৌসি প্রিয়ভাষিণীর মরদেহ নেয়া হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে। সেখানে বাদ জোহর জানাজা শেষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী মঙ্গলবার বেলা পৌনে একটায় রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালের সিসিইউতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন। একাত্তরের নির্মম ইতিহাসের প্রত্যক্ষ সাক্ষী ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হন তিনি। ২০১৬ সালের ১১ আগস্ট তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় সরকার।