ভিজিট ভিসার অপব্যবহার শ্রমবাজারের জন্য হুমকি, আমিরাতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

0
100

ইউএই : দীর্ঘ প্রায় ছয় বছরের মত বন্ধ রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শ্রমবাজার। বন্ধ শ্রমবাজার পুনরায় চালু হবার ইতিবাচক পরিবর্তন দৃশ্যমান বলে ইতিপূর্বে উল্লেখ করেন বাংলাদেশ দূতাবাস ও প্রসাশনিক সূত্র। এর ফলাফল স্বরূপ সকলের নজরে আসে ভিজিট ভিসা নিয়ে আরব আমিরাতে বাংলাদেশিদের প্রবেশের বিষয়টি।

সম্প্রতি দুবাই, আজমান, শারজাহ, আল আইনসহ আমিরাতের সাতটি প্রদেশে ভিজিট ভিসায় আমিরাতে ঠাঁই পাওয়া বাংলাদেশির সংখ্যাও কম নয়। তবে এদের অনেকেই ভিসা পরিবর্তন করে কাজের ভিসা তথা ব্যবসায়ীক পার্টনার ভিসায় পরিবর্তন করে থেকে যাচ্ছেন আমিরাতে।

আবার কেউ কেউ ভিসা পরিবর্তন ছাড়াও পালিয়ে যাবার অভিযোগ রয়েছে। এসব বিষয় নিজেদের নজরধারীতে এসেছে উল্লেখ করে ভিজিট ভিসার অপব্যবহার শ্রমবাজারের জন্যে হুমকি বলে প্রবাসীদের সর্তক করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি। বুধবার আমিরাতের রাজধানী আবুধাবি বাংলাদেশ দূতাবাসে ৭ মার্চের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন তিনি।

এসময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন,‘দীর্ঘ দিন আরব আমিরাতের শ্রমবাজার বন্ধ থাকলেও গত কিছুদিন ধরে আমরা কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি। বাংলাদেশি পুরুষ ও মহিলা ডোমেস্টিক শ্রমিকদের যে ১৮ টি ক্যাটাগরি আছে আমিরাত সরকার অভ্যান্তরীভাবে সেগুলোতে মালিক পরিবর্তনের সুযোগ দিচ্ছেন।

এছাড়া ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারও এই সুযোগ পাচ্ছেন। তারা জানিয়েছে ধাপে ধাপে অন্য ক্যাটাগরিগুলোকেও এই পর্যায়ে আনবেন। বর্তমানের বাংলাদেশিদের জন্য ভিজিট ভিসা দেয়া হচ্ছে, এটাও একেবারে বন্ধ ছিল। এগুলোই ইতিবাচক পরিবর্তন। ধাপে ধাপে আরো উন্নতি হবে। তবে আমি একটি সর্তকত বাণী উচ্চারণ করতে চাই, যারা তিন মাসের বা এক মাসের ভিজিট ভিসা ব্যবহার করে এখানে এসে থেকে যাবার পরিকল্পনা করছেন, তারা সর্তক হয়ে যান। এসব ইতিমধ্যে আমাদের নজরে এসেছে। যদিও মাত্র দুই তিন মাসের ঘটনা এটি। ভিজিট ভিসার অপব্যহারে ধাপে ধাপে হওয়া উন্নতিগুলো অবনতিতে পরিণত হবে এবং শ্রমবাজার আবারও একেবারে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।’

তিনি প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও নির্দেশনা দিয়েছেন বিশ্বের নানা দেশে এক কোটি প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছেন, কয়েক হাজারের জন্য যেন সকলের ক্ষতি না হয়। যেহেতু দীর্ঘদিন অপেক্ষা করেছি আরো তিনমাস, ছয়মাস আমরা অপেক্ষা করতে পারি। কিন্তু যেনতেন ভিসা নিয়ে, বেড়াতে আসার নাম করে এর অপব্যবহার যেন না করা হয়। এ ব্যাপারে সকলকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। ভিজিট ভিসার অপব্যবহার করলে কিন্তু বড় ধরণের বিপদে পড়ে যেতে পারি।’

দূতাবাসের হল রুমে আয়োজিত ৭ মার্চের এই সভায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ডা. মোহাম্মদ ইমরান সহ দূতাবাসের কর্মকর্তা ও মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here