আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: পর্ন তারকা স্টরমি ড্যানিয়েলসকে নিয়ে আরো বিপাকে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন স্টরমি। অভিযোগ করেছেন, তাঁর মুখ বন্ধ করতে হবে, এমন কোনো গোপন চুক্তিতে সই করেননি তিনি। ট্রাম্পের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক নিয়ে তিনি চাইলে আলোচনা করতেই পারেন। এখন সমস্তটা জানাজানি হওয়ার পরে তাঁর মুখ বন্ধ রাখতে নানা চেষ্টা হচ্ছে।
স্টরমির আসল নাম স্টেফানি ক্লিফোর্ড। তিনি জানিয়েছেন, ট্রাম্প মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লড়ার অনেক আগে থেকেই তাঁদের সম্পর্ক ছিল। সেইসময়ে তিনি কিছু বলেননি। তাঁকে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইজীবী মাইকেল কোহেন আটকে দিয়েছিলেন। ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দেওয়াও হয়। তারপরও তাঁর মুখ বন্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালের নভেম্বরে মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের কয়েকদিন আগে অক্টোবরের শেষে স্টরমিকে টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা হয়।
স্টরমি আদালতে জানিয়েছেন, তিনি চুক্তি মানেন না। কারণ তাতে ট্রাম্প নিজে সই করেননি। আরো বলা হয়েছে, তাঁকে জোর করে চুপ করানোর চেষ্টা হয়েছে। স্টরমি আগেই জানিয়েছেন, তিনি ২০০৬ সালে ট্রাম্পের কাছাকাছি আসেন। যৌন সম্পর্ক করেন। তার একবছর আগেই মেলানিয়াকে বিয়ে করেছিলেন ট্রাম্প। তারপরও যৌনতায় মেতে থাকেন স্টরমির সঙ্গে।
এদিকে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী কোহেনও কিছুদিন আগে জানান, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের কিছুদিন আগে তিনি নিজের পকেট থেকে স্টরমিকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দেন। যা ট্রাম্প বা তাঁর সংস্থা থেকে কোহেনকে ফেরত দেওয়া হয়নি। যদিও এই বিষয়ে এখনও হোয়াইট হাউস কোনো মন্তব্য করেনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবার এক শুনানির পর আদালত ট্রাম্পের পক্ষেই রায় দিয়েছে। এবং চুড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত স্টরমিকে মুখ বন্ধ রাখতে বলেছে।
সূত্র: ইএসএ টুডে, রয়টার্স