স্পোর্টস ডেস্ক: এই সময়ে পৃথিবীর সেরা তিন ফুটবলারের মধ্যে তিনি একজন। পাঁচবারের বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিল এবং ফরাসি ক্লাব পিএসজির সবচেয়ে বড় তারকা। কিন্তু কিছু মানুষের সেন্স অফ হিউমার যে একেবারেই তলানিতে তা আবারও প্রমাণ করলেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবল তারকা নেইমার। সদ্য প্রয়াত এ যুগের মহান বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংকে শ্রদ্ধা জানানোর নাম করে বিদ্রুপ করে নিন্দার ঝড়ের মুখে ব্রাজিল সুপারস্টার!
প্যারিস সেন্ট জার্মেইনয়ের (পিএসজি) হয়ে মার্সেইয়ের বিপক্ষে ম্যাচে ডান পায়ে চোট নিয়ে ফুটবলের বাইরে রয়েছেন বিশ্বের সবচের দামী ফুটবলার নেইমার। পায়ের চোটের কারণে তাকে কিছুদিন সাহায্য নিতে হয়েছে হুইল চেয়ারের। অন্যদিকে গত বুধবার কেমব্রিজে প্রয়াত হয়েছেন একালের শ্রেষ্ঠ পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালেয়ে পড়ার সময় ‘মোটর নিউরন’ নামের দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হন হকিং। এই রোগের কারণে ৭৬ বছরের জীবনে বড় অংশ হুইল চেয়ারেই কাটাতে হয়েছে তাকে। হাঁটা চলা তো দূরে থাক, নড়াচড়াও করতে পারতেন না এই মহান বিজ্ঞানী। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিজ্ঞান সাধনায় ব্রতী থেকেছেন সারাজীবন। যুক্ত থেকেছেন মানব সভ্যতার পক্ষে কল্যাণকর বিভিন্ন আবিষ্কারের সঙ্গে।
এরকম একজনের মৃত্যুর ঠিক পরদিন হুইল চেয়ারে বসে কিছুটা যেন হকিংকে অনুকরণ করে পোজ দিয়ে একটি ছবি টুইটারে পোস্ট করেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। সঙ্গে লেখেন হকিংয়েরই বিখ্যাত লাইন, ‘সবসময় ইতিবাচক মনোভাব রাখতে হবে। যে কোন পরিস্থিতিতে নিজের সেরাটা বের করে নিয়ে আসতে হবে।’
এই পোস্ট করার সাথে সাথেই নিন্দার ঝড় বয়ে যায় সোশ্যাল সাইটে। ফ্রান্স এমনকী ব্রাজিলের ফুটবল সমর্থকরা পর্যন্ত নেইমারের এই কুকীর্তি দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এই কান্ডজ্ঞানহীন ছবি পোস্ট করার জন্য ছিঃ ছিঃ পড়ে যায় অনলাইনে।
একজন লেখেন, ‘নেইমার! কোনো নৈতিকতা বা সহানুভূতি নেই তোমার! প্রার্থনা করি, তোমার সব টাকা নষ্ট হয়ে যাক। এমন অপকর্ম করায় কমপক্ষে ১০ বছরের জেল হওয়া উচিৎ তোমার।’
অন্য একজন লিখেছেন, ‘তারকারা সাধারণত আইকন হয়ে থাকেন সাধারণ মানুষের জন্য। সেই তারকাই যদি এমন অপকর্ম করে বসেন, তাহলে সাধারণ মানুষ কী বার্তা পাবে? এই ঘটনায় নেইমারের ক্ষমা চাওয়া উচিত।’