ভয়াল কালরাত্রি শেষে বাংলার পুব আকাশে উঁকি দেয় রক্ত রাঙা সূর্য। ভীতবিহ্বল মানুষ দেখতে পায় লাশপোড়া ভোর। সারি সারি স্বজনের মৃতদেহ। আর পুড়ছে স্বাধীন বাংলার মানচিত্র খচিত লাল-সবুজ পতাকা।
পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ পাওয়া মাত্র মৃত্যুকে তুচ্ছজ্ঞান করে জয় বাংলা স্লোগানে শত্রুর কামানের সামনে এগিয়ে দিলো সাহসী বুক। এমনিভাবে একাত্তরের ২৬শে মার্চ কোটি বাঙালির হৃদয়ে মুক্তির যে প্রদীপটি জ্বলে উঠেছিল দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শেষে তার পূর্ণতা মেলে ১৬ই ডিসেম্বর।
এরপর প্রায় ৫ দশকে নানা পিছুটান সত্ত্বেও দৃঢ় পায়ে সামনে এগিয়েছে বাঙালি। সকল বাধা আর নানা ষড়যন্ত্র পায়ে ঠেলে স্বল্পোন্নত দেশের পরিচয় পেছনে ফেলে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের দোড়গোড়ায় পৌঁছেছে।
অর্থনীতিবিদ কাজী খলিকুজ্জামান বলেন, আমাদের চলমান সমস্যা সমাধান করার মানসিকতা থাকতে হবে, মনে রাখতে হবে যেন আত্মতুষ্টিতে না ভুগতে হয়।
ইতিহাসবিদ অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটেছে, তলাবিহীন ঝুড়িটি আজকে উপচে পড়ছে। কিসিঞ্জারের অভিযোগ কাজে লাগেনি। তবে এও ঠিক, ৪৭ বছরে আমাদের আদর্শচ্যুতি ভয়ংকর।
এদিকে বিশ্লেষকদের মতে, দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সংগ্রাম আর প্রজ্ঞার ফল যে স্বাধীনতা, তার মূল লক্ষ্যার্জনে আজো অনেক পিছিয়ে বাংলাদেশ। শ্রেণি বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে একটি উদারনৈতিক ও প্রগতিশীল সমাজ কাঠামো গড়ে তুলতে পাড়ি দিতে হবে আরও অনেকটা পথ।
দেশকে এগিয়ে নিতে সকল ভেদাভেদ ভুলে শ্রমজীবী, পেশাজীবীসহ সকল স্তরের মানুষকে একাত্ম হয়ে কাজ করার আহ্বান বিশিষ্টজনদের।