স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৭ বছর অতিক্রম হলেও পাকিস্তানের কাছ থেকে বাংলাদেশের অন্তত ৪শ ৩২ কোটি ডলার (প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা) পাওনা রয়েছে। এদিকে সম্পদ বণ্টন সুরাহায় জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশকে তৎপর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালীউর রহমান।

১৯৭৮ সালে ঋণের দায়ভার বাংলাদেশ নিলেও তা এখনও ফেরত দেওয়ার কোন উদ্যোগ নেই পাকিস্তানের। সম্পদ বণ্টন নিয়ে পাকিস্তান টালবাহানা এবং সময়ক্ষেপণ নীতিতে চলছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

সাতচল্লিশ সালে দেশ ভাগের পরে গোড়াপত্তন হয় ভারত ও পাকিস্তান নামের দু্ই রাষ্ট্রের। চব্বিশ বছর পূর্ব পাকিস্তানকে অর্থনৈতিকভাবে শোষণ করে পশ্চিম পাকিস্তান।এই শোষণের শৃঙ্খল ভেঙে একাত্তরে জন্ম নেয় বাংলাদেশ।

ভিয়েনা কনভেনশন চুক্তি অনুযায়ী, উত্তরাধিকার রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তানের কাছে সঞ্চিত বৈদেশিক মুদ্রা, পূর্ব পাকিস্তানের নামে বরাদ্দ বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান এবং স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি পাওয়ার কথা বাংলাদেশের।

আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতির অর্থও পায় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের প্রথম অর্থ  সচিব মতিউল ইসলাম জানান, পরিকল্পনা কমিশনের হিসেবে এসব খাতে পাকিস্তানের কাছে পাওনা চারশো বত্রিশ কোটি ডলার বা প্রায় পয়ত্রিশ হাজার কোটি টাকা।

মুক্তিযুদ্ধে অবকাঠামোগত ক্ষতির পরিমাণ হিসাব করা হলেও এখনো ত্রিশ লাখ শহীদের ক্ষতিপূরণ নিরূপণ করেনি বাংলাদেশ। এই হিসাব বের করে অন্তর্ভূক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন আহমেদের।

তবে পাকিস্তান পাওনা মেটাতে টালবাহানা করলেও পাকিস্তান আমলে নেয়া ঋনের বিপরীতে ১৯৭৮ সালে প্রায় দেড়শ মিলিয়ন ডলারের দায় নিতে হয়েছিলো বাংলাদেশকে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপু মনি বলেন, ১৯৭৪ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশ কয়েক দফা পাওনা দাবির কথা তুললেও কৌশলে এড়িয়ে গেছে পাকিস্তান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here