বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায়ের দুয়ারে ছিল যারা, অবিশ্বাস্যভাবেওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন আফগানিস্তান ঘুরে দাঁড়িয়ে সেই আফগানিস্তানই হয়ে গেল চ্যাম্পিয়ন। ফাইনালে তারা পাত্তাই দেয়নি দুই বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদেন, হারিয়েছে ৭ উইকেটে।
রোববার ফাইনালে হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ক্যারিবিয়ানদের ২০৪ রান তাড়ায় আফগানরা জিতেছে ৫৬ বল বাকি রেখেই।
আগের ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত করা ম্যাচটির মতোই আবারও আফগানদের জয়ের পথ তৈরি করে দিয়েছেন বোলাররা। ওপেনিংয়ে আবারও দলকে দারুণ শুরু এনে দিয়েছেন মোহাম্মদ শাহজাদ। টানা দুই ম্যাচে ম্যান অব দা ম্যাচ এই ওপেনারই।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা ক্যারিবিয়ানদের রান বড় হয়নি কোনো ব্যাটসম্যান বড় ইনিংস খেলতে না পারায়। প্রথম ৯ ব্যাটসম্যানের সবাই ছুঁয়েছেন দুই অঙ্ক, কিন্তু পঞ্চাশ করতে পারেননি কেউ।
ক্রিস গেইল ব্যর্থ আরও একবার। এভিন লুইস ঝড়ের ইঙ্গিত দিলেও থেমেছেন ২৭ রানে। শেই হোপ (২৩), শিমরন হেটমায়াররা (৩৮) আউট হয়েছেন থিতু হয়েও। এদিন দলকে উদ্ধার করতে পারেননি অধিনায়ক জেসন হোল্ডারও (০)।
সাতে নেমে রোভম্যান পাওয়লের ৪৪ রান খানিকটা এগিয়ে নেয় দলকে। নয়ে নামা অ্যাশলি নার্সের ২৬ রানে কোনো রকমে দলের রান ছাড়ায় দুইশ।
আফগানদের সাম্প্রতিকতম সেনসেশন মুজিব-উর-রহমান আবারও দারুণ অফ স্পিনে নেন ৪ উইকেট।
রানটাকে আফগানরা উড়িয়ে দেয় যেন তুড়ি বাজিয়ে। ওপেনার গুলবদন নাইব ফিরেছেন ১৪ রানে, তার পরও উদ্বোধনী জুটি ছিল ৫৮ রানের। শাহজাদের ব্যাটে যে ছিল ঝড়।
দ্বিতীয় উইকেটে রহমত শাহর সঙ্গে শাহজাদ গড়েন ৯০ রানের জুটি। ম্যাচের ভাগ্যও তখন নিশ্চিত। ১১ চার ও ২ ছক্কায় শাহজাদ ফিরেছেন গেইলের বলে।
পরে ৫১ রান করা রহমতকেও ফেরান গেইল। তবে আফগানদের জিততে বেগ পেতে হয়নি একটুও। নবির ১২ বলে অপরাজিত ২৭ রান, শেষের ওই তিন ছক্কায় আরও একবার আফগানরা মেতে ওঠে উল্লাসে।
বাছাইপর্বের প্রথম তিন ম্যাচেই হেরেছিল এই দল। এরপর শুধু নিজেদের জিতলেই হতো না, কয়েক দফায় তাদের ভাগ্য নির্ভর করেছে অন্য ম্যাচের ফলের ওপর। নিজেরা অসাধারণ খেলে জিতেছে, অন্য ম্যাচের ফলগুলোও পক্ষে এসেছে। উঠেছে তারা ফাইনালের মঞ্চে। শেষ পর্যন্ত স্বাদ পেল শিরোপা জয়েরও।